ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

চাপের মুখে ত্রাণ বিলে স্বাক্ষর করলেন ট্রাম্প

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:২৪ এএম, ২৮ ডিসেম্বর ২০২০ সোমবার | আপডেট: ১০:২৮ এএম, ২৮ ডিসেম্বর ২০২০ সোমবার

নানা নাটকীয়তার অবসান ঘটিয়ে অনেকটা চাপের মুখে করোনাভাইরাস সংক্রান্ত  ২ দশমিক ৩ ট্রিলিয়ন বা ৯০৮ বিলিয়ন ডলারের ত্রাণ বিল (প্রণোদনা) অনুমোদন দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ট ট্রাম্প। স্থানীয় সময় রোববার (২৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বিলটিতে স্বাক্ষর করেছেন তিনি। খবর আল জাজিরার। 

এর ফলে আগামী বছরের মার্চ পর্যন্ত প্রায় ১৪ মিলিয়ন (এক কোটি ৪০ লাখ)  আমেরিকারন বেকার ভাতা পাবেন। 

এছাড়া প্রণোদনার ফলে ভাড়ার জন্য উচ্ছেদ অভিযান কিংবা মর্টগেজের কিস্তি পরিশোধে ব্যর্থতার জন্য বাড়ি নিলামে উঠানোর প্রক্রিয়া স্থগিত থাকবে। অধিক গরীব আমেরিকানদের ‘ফুট স্প্যাম্প’ কার্যক্রম ত্বরান্বিত থাকবে।

এর আগে বিলে স্বাক্ষর করতে নারাজি ছিলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তিনি জনসাধারণের জন্য আরও বেশি অর্থ সহায়তা চান এমন দাবি করে আসছিলেন। ত্রাণ তহবিলের পরিমাণ ৯০ হাজার কোটি টাকা। মাসব্যাপী আলোচনার পর এই বিলে কংগ্রেস সম্মতি জানায়। 

এর আগে বিলে ট্রাম্পের স্বাক্ষর করা নিয়ে নতুন প্রেসিডেন্ট বাইডেনও বেশ কড়া বার্তা দিয়ে আসছিলেন। এমনকি বিলে স্বাক্ষর না করলে পরিণতি ভাল হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি। 

বাইডেন বলেন, ‘এটা বড়দিনের পরের দিন আর লাখ লাখ পরিবার জানে না যে তারা কোনো ব্যবস্থা করতে পারবে কিনা। কংগ্রেস এবং দুই দল থেকেই বিপুল সমর্থনে বিল পাস হওয়ার পরেও ট্রাম্পের বিরোধীতার কারণে এই অবস্থা তৈরি হয়েছে।’

ত্রাণ তহবিলে মার্কিন নাগরিকদের জন্য অর্থ সহায়তা ৬শ ডলারের পরিবর্তে ২ হাজার ডলার করার দাবি জানিয়েছিলেন ট্রাম্প। এই বিল নিয়ে সন্তুষ্ট নয় বলে এ সপ্তাহে যখন তিনি জানান, তখন তা অবাক করেছে রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাট উভয় দলের সদস্যদেরই।

ট্রাম্পের অসম্মতির কারণে ১ কোটি ৪০ লাখ মার্কিন নাগরিকের বেকারভাতা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। বিলে স্বাক্ষর করায় এখন তা আবার চালু হবে। দীর্ঘ বিতর্কের পরে হোয়াইট হাউসের সম্মতিক্রমে রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাটরা এই প্রণোদনা প্যাকেজে সম্মত হন। কংগ্রেস বিলের পক্ষে ভোট দেয়ার আগ পর্যন্ত এই বিলের ব্যাপারে কোনো আপত্তি তোলেননি ট্রাম্প। 

এদিকে, ট্রাম্প কেন অবশেষে স্বাক্ষর করতে সম্মত হলেন তা এখনো পরিষ্কার নয়। কংগ্রেসে রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাটিক দুই দিক থেকেই তার ওপর চাপ আসছিল বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। 

এআই//