ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

দিনাজপুরে সর্বোচ্চ দামে ধান বিক্রি (ভিডিও)

দিনাজপুর প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১১:৩৬ এএম, ২৮ ডিসেম্বর ২০২০ সোমবার

খাদ্যশস্যে উদ্বৃত্ত জেলা দিনাজপুরে এবার সর্বোচ্চ দামে বিক্রি হচ্ছে ধান। এর প্রভাব পড়েছে চালের বাজারে। চড়া দাম পেয়ে কৃষক ও মিল মালিকরা খুশি হলেও, বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষ।

আমনের ভরা মৌসুম। বাজারে ধানের আমদানিও বেশ। কিন্তু দাম চড়া। ৭৫ কেজির প্রতি বস্তা সুমন স্বর্ণ, গুটি স্বর্ণ, উফসীসহ বিভিন্ন মোটা জাতের ধান বিক্রি হচ্ছে ২২শ’ থেকে ২৩শ’ টাকায়। জিরা কাটারী, কাটারী, চিনিগুরাসহ সরু ধান ৩৫ থেকে ৩৬শ’ টাকা।

ধানের দাম বাড়ায় প্রভাব পড়েছে চালের বাজারে। আটাশ চালের ৫০ কেজির বস্তা ২৪শ’ থেকে বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২৬শ’ টাকায়। আর ২৬শ’ টাকার মিনিকেট ২৮শ’, ১৯শ’ টাকার গুটি স্বর্ণা ২১শ’ এবং ২১শ’ টাকার সুমন স্বর্ণ ২৩শ’ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বিক্রেতারা জানান, চালের দাম বাড়ছে। মিলে গেলে তারা বলছে ধানের দাম বেশি তাই আমার চালের দামও বেশি। মিল মালিকরা যেভাবে দাম ধরে সেইভাবে আমরা কিনে এনে বিক্রি করে থাকি।

ধান-চালের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় খুশি কৃষকরা। তবে নিম্ন আয়ের মানুষ রয়েছেন বিপাকে।

ক্রেতারা জানান, আমরা তো গরীব। চালের দাম যদি বাড়ে তাহলে সাধারণ মানুষ কিভাবে কিনবে। যারা খেটে খায় এদের জন্য খুবই কষ্টকর।

কৃষকরা জানান, এই বাজারটা বাড়ার কারণ হচ্ছে এবার ধানের আবাদ কম হয়েছে। পাঁচ বছর যেন এই বাজারটা থাকে, কেননা কৃষক যদি ধানের বাজার না পায় তাহলে আমাদের কোন দিনই উন্নতি হবে না। সরকার যদি শেষ পর্যন্ত এইভাবে বাজারটা রাখে তাহলে আমরা কৃষকরা লাভবান হবো।

মিলাররা বলছেন, উৎপাদন কম হওয়ায় দাম বেড়েছে। সামনে দাম আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা তাদের।

দিনাজপুরের মিল মালিক আজিজুল ইকবাল চৌধুরী বলেন, এখনই যদি আমদানির পরিমাণ বাড়ানো না হয় তাহলে আমার মনে হয় সামনের দিকে বাজার হয়তো আরও বাড়তির দিকে যেতে পারে।

ধান-চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত মনিটরিং দরকার বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

ভিডিও-

এএইচ/