ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

করোনা টিকাদান কর্মসূচি সফল করতে বিভিন্ন উদ্যোগ (ভিডিও)

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০২:৩৯ পিএম, ২৯ ডিসেম্বর ২০২০ মঙ্গলবার

করোনার টিকাদান কর্মসূচি সফল করতে ব্যবহার করা হবে সব ধরনের স্বাস্থ্য অবকাঠামো। কাজ করবে টিকা কর্মসূচিতে যুক্ত দক্ষ কর্মীরা। স্বাস্থ্য অবকাঠামোর বাইরে ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, বেসরকারি স্বায়ত্তশাসিত চিকিৎসা কেন্দ্রগুলোতেও খোলা হবে করোনা ভ্যাকসিনেশন সেন্টার। 

সাপ্তাহিক ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন সকাল নয়টা থেকে বিকাল তিনটা পর্যন্ত চলবে টিকা কার্যক্রম। এই উদ্যোগে প্রতিদিন, প্রতিকেন্দ্রে গড়ে টিকা দেয়া যাবে ১শ’ থেকে দেড়শ’ জনকে। 
 
অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা আসবে প্রতিমাসে ৫০ লাখ ডোজ। ছয় মাসে টিকা আসবে তিন কোটি। এই কার্যক্রমে সরাসির কাজ করবে সম্প্রসারিত টিকা দান কর্মসূচি (ইপিআই)র দক্ষ-জনবল। অতিরিক্ত জনবল চাহিদা থাকায় যুক্ত করা হচ্ছে নার্স ও মেডিকেল টেকনোলজিস্টদের।

প্রতি ভ্যাকসিনেশন সেন্টারে ২ জন ভ্যাকসিনেটর ও ৪ জন স্বেচ্ছাসেবক থাকবে। চার ধাপে টিকা কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হলেও, প্রথম ধাপেই তৃণমূল পর্যায়েও শুরু হবে এই কার্যক্রম।

মোবাইল ফোনের ক্ষুদে বার্তায় টিকা দেয়ার নির্ধারিত দিন-ক্ষণ পৌঁছে যাবে নিবন্ধিত ব্যক্তির কাছে। ওই দিন দেয়া হবে প্রথম ডোজ। দ্বিতীয় ডোজের তারিখ উল্লেখ থাকবে ভ্যাকসিন কার্ডে।

টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া পর্যবেক্ষণ ও রিপোর্ট প্রণয়নে টিকাদান কেন্দ্রেই থাকবে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী।  

স্বাস্থ্য অধিদফতরের এমআইএস লাইন ডিরেক্টর ডা. হাবিব রহমান বলেন, আমরা প্রথমে বার্তা পাঠাবো, এই বার্তা পেয়ে যারা টিকা নিতে আসবে তাদেরকে আমরা টিকা দিব। এরপর তাদের হাতে সনদ বা যে কোন কার্ড ধরিয়ে দেব যেন তারা পরবর্তী নির্দিষ্ট সময়ে টিকা নিতে পারেন বা নিতে আসেন। মেডিক্যাল কলেজগুলো, ইনস্টিটিউটগুলো, ২৫০ শয্যার হাসপাতাল, উপজেলা হেলথ কমপ্লেক্স এমনকি ইউনিয়ন পরিষদকেও আমরা টিকা কেন্দ্র হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছি।

বাংলাদেশে টিকাদানে ইপিআই অবকাঠামো এখন পর্যন্ত সারাবিশ্বে মডেল। এদিকে, করোনা টিকা দিতে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে সংশ্লিষ্টদের প্রশিক্ষণের প্রস্তুতি নিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। 

ডা. হাবিব রহমান আরও বলেন, স্বাস্থ্য অধিদফতরের নার্স যারা রয়েছেন, তাদেরকে আমরা অন্তর্ভুক্ত করবো এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা এই দুই দফতরের এসএসসিএমও, চেকমো বা মেডিক্যাল এসিস্ট্যান্ট রয়েছেন তাদেরকেও ভ্যাকসিনেটর হিসেবে ট্রেনিং দেয়াবো বা তাদের দ্বারা কাজ করাবো। 
 
করোনা ভ্যাকসিনের জন্যে নিরাপদ চিকিৎসা সরঞ্জাম, সিরিঞ্জ, কোল্ড বক্সসহ প্রয়োজনীয় কেনাকাটার কাজও এগিয়েছে অনেকটা। 

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, গাউন লাগবে, টিকা কার্যক্রমে সিরিঞ্জ লাগবে, কোল্ড বক্স লাগবে এবং হাতের গ্লাভস ও স্যানিটাইজার লাগবে। এগুলোর ব্যবস্থাও আমরা করেছি। 

অগ্রাধিকার তালিকা অনুযায়ী সবাই আসবে করোনা ভ্যাকসিনের আওতায়। এই কার্যক্রম বাস্তবায়নে সকলের ধৈর্য্য ও সহযোগিতা জরুরি বলে মনে করছেন স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপকরা।

ভিডিও-

এএইচ/