গণতন্ত্রের বিজয় দিবসে ছাত্রলীগের আনন্দ র্যালি
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৫:১৪ পিএম, ৩০ ডিসেম্বর ২০২০ বুধবার | আপডেট: ০৫:১৮ পিএম, ৩০ ডিসেম্বর ২০২০ বুধবার
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিজয়ের ২য় বর্ষপূর্তির দিনে গণতন্ত্রের বিজয় দিবস উপলক্ষে আনন্দ র্যালি ও বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা করেছে ছাত্রলীগ।
বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিন থেকে শুরু হয়ে কলাভবন, ভিসি চত্বর, টিএসসি, রাজু ভাস্কর্য সহ ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এসে শেষ হয়।
ছাত্রলীগ সভাপতি আল-নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য গণতন্ত্রের বিজয় দিবসের শোভাযাত্রায় নেতৃত্ব প্রদান করেন। শোভাযাত্রায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি সংবলিত প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে ছাত্রলীগের বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।
এসময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন, ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহিম হোসেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান সহ কেন্দ্রীয়, বিশ্ববিদ্যালয় ও বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
র্যালি শেষে ছাত্রলীগ সভাপতি আল-নাহিয়ান খান জয় বলেন, ‘আমরা দেখেছি ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ও পরে এবং ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করতে বিএনপি-জামাতের ধ্বংসযজ্ঞ, নৈরাজ্য-সহিংসতা। তারা দেশব্যাপী অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে, বিশেষ করে নৈরাজ্য-নাশকতা, ধ্বংসযজ্ঞ, নৃশংসভাবে মানুষ হত্যা, সাম্প্রদায়িকতা সহ নানামুখী ষড়যন্ত্র। গণতন্ত্র ও উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও স্বাধীনতাবিরোধী, জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষক, আগুন সন্ত্রাসী বিএনপি-জামাতকে বর্জন করে দেশের জনগণ ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে তাদের পরাজিত করে এদিন গণতন্ত্রের বিজয় সূচিত করেছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতায় একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়কে। এই নির্বাচনে বাংলাদেশের জনগণ তৃতীয়বারের মতো মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে সুযোগ দিয়েছে। যার ফলে আজ বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। উন্নয়ন অগ্রগতির কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌছে যাচ্ছে বাংলাদেশ।’
সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য বলেন, ‘একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও উন্নয়নের ইতিহাসে একটি বিজয়ের মাইলফলক। এই নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্রের নবতর অভিযাত্রায় অগ্রসর হয় বাংলাদেশ।’
তিনি আরো বলেন, ‘গণতন্ত্রের মানসকন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে আজ যখন বাংলাদেশ ধারাবাহিক অগ্রগতির মধ্য দিয়ে কাঙ্ক্ষিত অভিষ্ঠে এগিয়ে চলেছে, তখনই একাত্তরের পরাজিত শক্তি, সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী বিএনপি-জামাত বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা ও গণতান্ত্রিক অভিযাত্রাকে ব্যাহত করার নানামুখী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ ও সকল অপশক্তির বিরুদ্ধে দুর্বার প্রতিরোধ গড়ে তুলে, ক্ষুধা দারিদ্র্য মুক্ত এবং একটি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনিমার্ণে, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক হিসেবে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্রতিটি নেতাকর্মী ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে যাবে।’
এছাড়া গণতন্ত্রের বিজয় দিবস উপলক্ষে ছাত্রলীগের সকল ইউনিট সারাদেশে একযোগে আনন্দ র্যালি উদযাপন করেছে।
উল্লেখ্য, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিজয়ের আজ ২য় বর্ষপূর্তির দিন। ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের জনগণ মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পক্ষে ব্যালটের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের পক্ষে নৌকা প্রতীকে গণরায় প্রদান করে।
এসি