ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

পৈশাচিক নির্যাতনের শিকার ৯ম শ্রেণির ছাত্রী

বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০৮:১৮ পিএম, ১ জানুয়ারি ২০২১ শুক্রবার

পটুয়াখালীর বাউফলের মহাশ্রাদ্দি (মোহসেন উদ্দিন) গ্রামে আজ শুক্রবার সকালে ফারজানা আক্তার (১৪) নামে ৯ম শ্রেণির এক ছাত্রীকে পৈশাচিক নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। এ সময় বসতঘরে প্রবেশ করে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে ও চুলের মুঠি ধরে মাটিতে ফেলে পায়ে মাড়িয়ে আহত করা হয় তাকে। 

এ সময় তার শরীরের জামা-কাপড় ছিলে বিবস্ত্র করা হয়। একপর্যায়ে অচেতন হয় সে। তারপরও থামেনি পাশবিকতা। মারধর করা হয় অচেতন অবস্থাতেও। 

ফারজানার আত্মীয়-স্বজনরা জানায়, সখি বেগম নামে স্থানীয় একজনকে মারধরের মামলায় সাক্ষী ছিল আতশখালি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ফারজানার বাবা বেল্লাল হোসেন ও তার মা ফরিদা বেগম। এতে ক্ষুব্ধ হয় আসামি বাবুল সিকদার ও বাদশা সিকদার গং। 

প্রথম দফায় গত ২৯ ডিসেম্বর ওই মামলার আসামিরা বেল্লাল সিকদারের বসতঘরে প্রবেশ করে ভাঙচুর চালায় এবং বেল্লাল ও তার স্ত্রী ফরিদা বেগমসহ মেয়ে ফারজানাকে মারধর করে। গত বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) সখি বেগম তার সাক্ষীদের মারধরের বিষয়টি আদালতকে অবহিত করলে গতকাল সন্ধ্যার দিকে বাবুল সিকদার গং দ্বিতীয় দফায় বেল্লাল সিকদারে বতসঘরে প্রবেশ করে আবারো ভাঙচুর ও ফরিদা বেগমসহ ওই ছাত্রী ফারজানাকে মারধর করে। 

এরপর আজ শুক্রবার (১ জানুয়ারি) সকাল ৮টার দিকে ফারজানা একই বাড়িতে তার চাচা সফিউল্লাহর ঘরে গেলে বাবুল সিকদার, তার ভাই বাদশা সিকদার ও বোন মুক্তা বেগম ওই ঘরে প্রবেশ করে তাকে পিটিয়ে, পায়ে মাড়িয়ে ও সেলোয়ার কামিজ ছিড়ে বিবস্ত্র করে পৈচাশিক নির্যাতন চালায়। একপর্যায়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেললেও মারধর থেকে রেহাই মেলেনি তার। 

বাড়ির লোকজন ফারজানাকে উদ্ধার করে গুরুতর আহত অবস্থায় পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন। হামলার শিকার হয়ে ফারজানার বাবা বেল্লাল সিকদারও চিকিৎসাধীন আছেন একই হাসপাতালে। 

এআই//