অপহরণের ৭ দিন পর মিলল গার্মেন্টস শ্রমিকের বস্তাবন্দী লাশ
সাভার (ঢাকা) প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ১২:০৪ পিএম, ৩ জানুয়ারি ২০২১ রবিবার
অপহরণের সাত দিন পর সাভারে সাজেদুল ইসলাম নামের এক (১৮) গার্মেন্টস শ্রমিকের বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ রোববার ভোর রাতে উপজেলার তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়নের ঝাউচরের ধলেশ্বরী নদী থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
মামলার এজাহার থেকে জানাযায়, নাটোর জেলার নলডাঙ্গা থানার বাশিলা মধ্যপাড়া এলাকার মোস্তাক শাহ্র ছেলে বাবা-মায়ের সাথে তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়নের হরিণধরা এলাকার ঈমান আলীর বাড়িতে ভাড়া থেকে স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করে আসছিলেন। পরে তার সাথে কিছু দিন আগে পরিচয় হয় হরিণধরা এলাকার পেশাদার ছিনতাইকারী কাদের মিয়ার ছেলে মিলন (২৪), খোকন মিয়ার ছেলে শাওন (২২), ইব্রাহিম মিয়ার ছেলে ইমনের সাথে (২৩)।
এ সময় তিন ছিনতাইকারী হরিণধরা ও বাগবাড়ি মোড় এলাকায় বিভিন্ন গার্মেন্টস শ্রমিকসহ নানা বয়সী মানুষের কাছ থেকে ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা পয়সা ও মোবাইল ফোন ছিনতাই করলে সাজেদুল ইসলাম প্রতিবাদ করেন। এ সময় ওই তিন ছিনতাইকারী তাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন।
পরে গত ২৮ ডিসেম্বর কাজ থেকে বাড়িতে ফিরলে ছিনতাইকারীরা তাকে কৌশলে মোবাইলফোনে ভাড়া বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে অপহরণ করে ছুরিকাঘাতে ও কুপিয়ে হত্যা করে। পরে লাশ বস্তায় ভরে ইট দিয়ে বেঁধে গুম করার জন্য ঝাউচর এলাকার ধলেশ্বরী নদীতে ফেলে দেয়।
এদিকে এ ঘটনার পর নিহতের মা সাজেদা বেগম তিন ছিনতাইকারীর নামে সাভার মডেল থানায় একটি অপহরণের লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ গতকাল উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে ছিনতাইকারী মিলনকে আটক করে তাকে সঙ্গে নিয়ে ভোর রাতে ধলেশ্বরী নদী থেকে লাশটি করে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় আরও দুই ছিনতাইকারীকে আটক করতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।
এদিকে সাভারের জামসিং এলাকায় ফজলুল হকের ছেলে মিলন মিয়া (২০) হত্যার রহস্য উৎঘাটন করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় পুলিশ হত্যাকারী একই এলাকার আব্দুর রবের ছেলে বাবু মিয়াকে (২৩) আটক করেছে।
পুলিশ বলছে, গত এক মাস আগে ঝগড়ার জের ধরে মিলনকে হত্যার পরিকল্প করেন তার প্রতিবেশী বাবু, ইমন, রাজন, জয় ও সুমন নামের পাঁচ যুবক। পরে তিন ডিসেম্বর প্রকাশ্যে জামসিং এলাকায় মিলন মিয়াকে কুপিয়ে হত্যা করে ওই পাঁচ যুবুক। এর পর থেকে হত্যাকারীরা বাড়ি ঘরে তালা ঝুলিয়ে পালিয়ে যায়। পরে নিহত যুবকের বাবা ফজলুল হক ইমন মিয়াকে প্রধান আসামী করে আরও অজ্ঞাত ব্যক্তিদের নাম উল্লেখ করে সাভার মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করলে পুলিশ মামলাটি গুরুত্ব সহকারে নিয়ে আসামিদের আটক করতে অভিযানে নামে।
পরে গতকাল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ধামরাইর বাথুলী এলাকায় অভিযান চালিয়ে হত্যাকারী বাবুকে আটক করে সাভার মডেল থানা পুলিশ। এ সময় হত্যাকারী বাবু মিলনকে হত্যার কথা শিকার করে পুলিশের কাছে জবাববন্দি দিয়েছেন। দীর্ঘ একমাস পরে এহত্যার রহস্য উৎঘাটন করায় নিহতের পরিবার সন্তোষ প্রকাশ করে হত্যাকারী আরো চারজনকে দ্রুত আটক করার জন্য পুলিশের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
এ বিষয়ে সাভার মডেল থানার ওসি তদন্ত সাইফুল ইসলাম জানান, ‘আটক দুই হত্যাকারীকে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির জন্য সকালে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে ও অন্য আসামিদের আটক করতে অভিযান চলছে।’
এর আগে গতকাল আশুলিয়ার ইয়ারপুর এলাকায় অজ্ঞাত এক যুবককে ধারালো অস্ত্র দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।
এআই//