আমদানিকৃত পেঁয়াজের চাহিদা নেই
হিলি প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ০৫:৩১ পিএম, ৫ জানুয়ারি ২০২১ মঙ্গলবার
ভারত সরকারের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের ফলে সাড়ে ৩ মাস পর দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। আমদানি শুরু হলেও তুলনামূলক দেশীয় পেঁয়াজের দাম কম হওয়ায় আমদানিকৃত পেঁয়াজের তেমন চাহিদা নেই। ফলে লোকশানের আশঙ্কায় পেঁয়াজ আমদানির পরিমাণ কমিয়েছেন আমদানিকারকরা।
হিলি স্থলবন্দর সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘ সাড়ে ৩ মাস বন্ধের পর হিলি স্থলবন্দর দিয়ে গত ২ জানুয়ারি একটি ট্রাকে ১৯ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়। এরপরে ৩ জানুয়ারি বন্দর দিয়ে চারটি ট্রাকে ১১৪ টন পেঁয়াজ আসে। হিলি স্থলবন্দরের মেসার্স বাবু এন্টারপ্রাইজ ও রাইয়ান ট্রেডার্স এসব পেঁয়াজ আমদানি করেন। এরপর গত সোমবার বন্দর দিয়ে কোন পেঁয়াজ আমদানি হয়নি, তবে আজ মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত চারটি ট্রাকে ৯৬ টন পেঁয়াজ দেশে ঢুকে।
রংপুর থেকে পেঁয়াজ কিনতে আসা পাইকার মোবারক হোসেন বলেন, আমরা হিলি স্থলবন্দর থেকে পেঁয়াজ কিনে রংপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করে থাকি। ভারতের নিষেধাজ্ঞার কারণে সাড়ে ৩ মাস বন্ধের পর পেঁয়াজ আমদানি শূরু হওয়ায় হিলি স্থলবন্দরে পেঁয়াজ কিনতে এসেছি। কিন্তু এখানে এসে দেখি উল্টো ঘটনা, যেখানে দেশীয় পেঁয়াজ রংপুরসহ বিভিন্ন বাজারে ৩০ টাকা বা তার নিচেও বিক্রি হচ্ছে। সেখানে ভারতীয় পেঁয়াজ চাচ্ছে ৩০ টাকা করে। এই দামে পেঁয়াজ কিনলে লোকশান গুনতে হবে যার কারণে পেঁয়াজ না কিনেই ফিরে যাচ্ছি। তার মতো অনেকেই পেঁয়াজ কিনতে আসলেও তারা ফিরে যাচ্ছেন।
হিলি বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা শাকিল খান বলেন, ভারত থেকে পেঁয়াজ আসার কারণে দেশীয় পেঁয়াজের দামে ধস নেমেছে। যে পেঁয়াজ আমরা ৩/৪ দিন আগে ৩৫/৩৬ টাকা বিক্রি করলেও বর্তমানে তা ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি। আর আমদানিকৃত ভারতীয় পেঁয়াজ যা বিক্রি করা হচ্ছে ৩২ টাকা কেজি দরে, তবে দেশীয় পেঁয়াজের দাম কম হওয়ায় ক্রেতারা দেশীয় পেঁয়াজই কিনছেন, কেউ ভারতীয় পেঁয়াজ তেমন নিতে চাইছে না।
এএইচ/