ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের জীবিকা নিয়ে পরিকল্পনা (ভিডিও)

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০১:০৬ পিএম, ৭ জানুয়ারি ২০২১ বৃহস্পতিবার

ভাসানচরে স্থানান্তরিত রোহিঙ্গাদের জীবন স্বাচ্ছন্দ্যময় করতে জীবিকার ব্যবস্থা করেছে সরকার। প্রায় সাড়ে তিন হাজার রোহিঙ্গার জন্য জীবিকার পথ তৈরিতে পরিকল্পনা অনুযায়ী চলছে কাজ। আর এই কাজটি বিভিন্ন মন্ত্রণালয় সমন্বিতভাবেই করছে বলে জানিয়েছেন ভাসানচর আশ্রয়ণ প্রকল্প-৩ কর্মকর্তা। বসে না থেকে নিজেদের উদ্যোগে অনেক রোহিঙ্গা এরই মধ্যে তৈরি করে নিয়েছেন জীবিকার পথ।

বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিকদের একটি অংশ এখন এই ভাসানচরে। আদি ভিটায় কবে ফিরতে পারবে জানা নেই; তবুও থেমে নেই জীবন। ভাসানচরে এসে ফের পেয়েছেন জীবনের স্বাদ।

সাদেক, সকাল থেকেই ব্যস্ততার শেষ নেই। গরম গরম নাস্তা খেতে সাদেকের চা-পরোটার দোকানে ভিড় লেগেই থাকে। এক হাতে পরোটা বানানো, বিক্রি সবই করছেন তিনি।

কক্সবাজারের কুতুপালং শরনার্থী ক্যাম্প থেকে সাদেক গত ৪ ডিসেম্বর ভাসানচর আসেন পরিবারসহ। নিজের জমানো দুই হাজার টাকা দিয়ে দোকান খুলেছেন। 

সাদেক জানান, আমি ২ হাজার টাকা দিয়ে শুরু করেছি। এখন তিন-চার হাজার টাকা বিক্রি হয়। এ দিয়ে আমি ভালোভাবেই চলতে পারছি।

সিরাজুল ইসলাম জিলাপি তৈরিতে ব্যস্ত; মোবাইল বিক্রির টাকা দিয়ে কিনেছেন বেচাবিক্রির সরঞ্জাম। জিলাপি ছাড়াও বিস্কুটসহ প্যাকেটজাত খাবার বিক্রি করে দৈনিক আয় বারো থেকে তেরশ’ টাকা।

সিরাজুল ইসলাম বলেন, আমার একটি মোবাইল ছিল, সেটি বিক্রি করে এই জিলাপি বানানো শুরু করেছি।

সাগরে ভেসে আসা কাঠ কুঁড়িয়ে এনে জমা করেছেন আবুল হোসেন। সেই কাঠ দিয়ে বানাচ্ছেন আসবাব। ক্রেতাও ভাসানচরের রোহিঙ্গারাই। মাসে ৫ হাজার টাকা আয় করেছেন তিনি।

আবুল হোসেন বলেন, চা দোকানের টেবিল-টুল, পানের দোকানের সোকেজ বিভিন্ন ধরনের জিনিস বানিয়ে বিক্রি করছি। 

উচুঁ-নিচু পাহাড়ে ত্রিপলের ঘরের তুলনায় ভাসানচরের ক্লাস্টার হাউজ অনেক বেশি স্বাচ্ছন্দ্যের। তারপরও কাজের সুযোগ চান রোহিঙ্গারা।

ভাসানচরে কৃষি, মাছ চাষ, গবাদী পশু, হাঁস মুরগী পালন ছাড়াও অর্থনৈতিক কাজের জন্য প্রস্ততি চলছে। 

ভাসানচর আশ্রয়ণ প্রকল্প-৩ কর্মকর্তা কমোডর আবদুল্লাহ আল মামুন চৌধুরী বলেন, ভবিষ্যতে এখানে যারা অবস্থান করবে তাদের জীবন ব্যবস্থার জন্য চাষাবাদ ও কৃষি বিষয়ক কাজের জন্য আগামী দুই-এক সপ্তাহের মধ্যে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা এখানে আসবেন।

এক মাসের ব্যবধানেই বদলে গেছে ভাসানচর; সময়ের সাথে সাথে প্রশস্ত হবে জীবিকা নির্বাহের পথ।
ভিডিও :


এএইচ/এসএ/