শরণখোলায় নির্মিত বেড়িবাঁধ হস্তান্তর ও কম্বল বিতরণ
বাগেরহাট প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ০৭:৩৩ পিএম, ৭ জানুয়ারি ২০২১ বৃহস্পতিবার
শরণখোলায় সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে নির্মিত দেড় কিলোমিটার রিং বেড়িবাঁধ হস্তান্তর।
বাগেরহাটের শরণখোলায় সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে নির্মিত দেড় কিলোমিটার রিং বেড়িবাঁধ পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) দুপুরে পানি উন্নয়ন বোর্ড, যশোর সার্কেলের তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোঃ হাসান ইমামের কাছে বাঁধের কাগজপত্র সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বুঝিয়ে দেন বরিশাল শেখ হাসিনা সেনানিবাসের ২৮ পদাতিক বিগ্রেডের কমাণ্ডার বিগ্রেডিয়ার জেনারেল কাজী আনিসুজ্জামান পিএসসি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বাঁধ নির্মাণ প্রকল্প পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্ণেল খুরশিদ আনোয়ার, বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক আ ন ম ফয়জুল হক, পানি উন্নয়ন বোর্ড খুলনা সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোঃ আবুল হোসেন, বাগেরহাটের অতিরিক্ত জেরা প্রশাসক রাজস্ব মোঃ শহিনুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ শাফিন মাহমুদ, বাগেরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আশরাফুল আলম, শরণখোলা উপজেলা চেয়ারম্যান রায়হান উদ্দিন শান্ত, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরদার মোস্তফা শাহিন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগী প্রকৌশলী মোঃ আরিফ হোসেন, রাকিব হোসেনসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
পরে নির্মিত এ বাঁধ পরিদর্শন করে বাঁধ এলাকার হত দরিদ্রদের মাঝে সেনাবহিনীর পক্ষ থেকে ৪ শতাধিক কম্বল বিতরণ করা হয়।
প্রসঙ্গত, ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর ঘূর্ণিঝড় সিডরে বিধ্বস্ত শরণখোলায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের সম্পূর্ণ বেড়িবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এলাকাবাসীর দাবীর প্রেক্ষিতে ২০১৬ সালের ২৬ জানুয়ারী বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে সাড়ে তিনশ কোটি টাকা ব্যয়ে ৬৩ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু করে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
নির্মাণাধীন অবস্থায় সাউথখালী ইউনিয়নের বগী থেকে গাবতলা পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে বারবার লোকালয় প্লাবিত হওয়ায় এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়। এক পর্যায়ে সেনাবাহিনীকে ভাঙ্গনকবলিত এলাকায় বাঁধ নির্মাণের দায়িত্ব প্রদান করা হয়। ২০২০ সালের ১৬ জুন সাউথখালী ইউনিয়নের ভাঙ্গন কবলিত অধিক ঝুঁকিপূর্ণ বগী থেকে গাবতলা পর্যন্ত ১ হাজার ৭শ মিটার রিং বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু করে সেনাবহিনী। আট কোটি টাকা ব্যয়ে তিনটি প্যাকেজে দ্রুত গতিতে কাজ শেষ করে প্রায় সাত মাস পর এই বাঁধ হস্তান্তর করা হলো।
এনএস/