ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

ক্যাপিটল ভবনে হামলাকারী কারা এই কিউ অ্যানন?

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৮:০২ পিএম, ৭ জানুয়ারি ২০২১ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০৯:৪৯ পিএম, ৭ জানুয়ারি ২০২১ বৃহস্পতিবার

বুধবার যেসব ট্রাম্প সমর্থকরা ওয়াশিংটনের ক্যাপিটল ভবনে ঢুকে তাণ্ডব চালিয়েছে - তাদের মধ্যে ছিল কিউঅ্যানন নামে একটি গ্রুপের লোকেরা। কিউঅ্যানন হচ্ছে একটি ভিত্তিহীন ষড়যন্ত্র তত্ত্ব - যাতে দাবি করা হয় যে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং সামরিক গোয়েন্দা অফিসারদের একটি গোপন দল এক যুদ্ধ পরিচালনা করছেন – এবং সে যুদ্ধটি ডেমোক্র্যাটিক পার্টির ভেতরে থাকা “শয়তানের পূজারী শিশুকামী”দের বিরুদ্ধে।

ডোনাল্ড ট্রাম্পের অন্ধ এই ভক্তকূলের বিশ্বাস শিশুদের ওপর যৌন নিপীড়নকারী এক দুষ্ট চক্রের হাত থেকে পৃথিবীকে রক্ষা করতে আমেরিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

বিবিসি’র সংবাদদাতারা জানাচ্ছেন, কংগ্রেস ভবনের ভেতরে বেশ কয়েকজন নেতৃস্থানীয় কিউঅ্যানন গ্রুপের কর্মীকে দেখা গেছে। তারা ওই আন্দোলনের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ বিভিন্ন ব্যানারও বহন করছিল। এর সাথে আরো ছিল ট্রাম্প-কথিত নির্বাচন জালিয়াতি প্রতিরোধের জন্য অনলাইনে গড়ে ওঠা বিভিন্ন গ্রুপের লোকজন।

কিউঅ্যানন হচ্ছে ষড়যন্ত্র তত্ত্বের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয়। বিবিসির গবেষণায় দেখা গেছে, এ নিয়ে মন্তব্য, শেয়ার এবং লাইক হয়েছে ১০ কোটিরও বেশি। ফেসবুকে সবচেয়ে বড় কিউঅ্যানন গ্রুপটির লাইক, কমেন্ট ও শেয়ারের সংখ্যা ৪ কোটি ৪০ লাখ।

তুলনা করে দেখা যায়, ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটারের মতো বিশ্বব্যাপি সাড়া তোলা আন্দোলনের যে প্রতিক্রিয়া হয়েছে - কিউঅ্যাননের প্রতিক্রিয়া তার প্রায় দু-তৃতীয়াংশ। সামাজিক মাধ্যম কোম্পানিগুলো শুরুতে এটা ঠেকানোর চেষ্টা করেছিল কিন্তু সমর্থকরা নানা কৌশলে, নতুন নতুন হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে আবার ফেসবুক, ইন্সটাগ্রাম আর টুইটারের সাধারণ ব্যবহারকারীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে।

অবশ্য কিউঅ্যাননের কট্টর সমর্থকরা এখনো একটা প্রান্তিক গোষ্ঠী বলা যায়। সেপ্টেম্বর মাসে পিউ রিসার্চ সেন্টারের এক গবেষণায় বলা হয় - অর্ধেক আমেরিকানই এদের নাম শোনেনি। কিন্তু তা হলেও এটা ইতিমধ্যেই লক্ষ লক্ষ লোকের কাছে পৌঁছে গেছে।

এসি