ভর্তি পরীক্ষায় আসন হ্রাসের পক্ষে হাবিপ্রবির ৯০% শিক্ষার্থী!
হাবিপ্রবি সংবাদদাতা
প্রকাশিত : ১১:২৯ পিএম, ৭ জানুয়ারি ২০২১ বৃহস্পতিবার
উত্তরের বিদ্যাপীঠ হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) প্রতি বছর একাডেমিক সক্ষমতার তুলনায় অতিরিক্ত শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয় বলে মনে করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষার্থী।
এজন্য একাডেমিকসহ সার্বিক বিষয়ে সক্ষমতা না বাড়ানো পর্যন্ত ভর্তি পরীক্ষায় আসন সংখ্যা কমানো উচিৎ বলে মনে করেন এসব শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত সাংবাদিকদের সংগঠন হাবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতি পরিচালিত সম্প্রতি এক জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে।
সাংবাদিক সমিতি পরিচালিত ঐ জরিপে অংশগ্রহণ করেন ২ হাজার ১৮৬ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে ভর্তি পরীক্ষায় আসন সংখ্যা কমানোর ব্যাপারে মতামত দিয়েছেন ১ হাজার ৯৫২ জন শিক্ষার্থী, যা মোট ভোটের প্রায় নব্বই শতাংশ। অন্যদিকে, আসন সংখ্যা অপরিবর্তিত রাখার ব্যাপারে মতামত দিয়েছেন ১৮৬ জন এবং বাড়ানোর ব্যাপারে মতামত দিয়েছেন ৫০ জন শিক্ষার্থী।
আসন সংখ্যা কমানোর পক্ষে মত দেওয়া শিক্ষার্থীদের দাবি- প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন একের পর এক বিভাগ খুলেছে। তবে পূর্বের বিভাগগুলোর আসন বাড়ানো হলেও সেই অনুপাতে বাড়েনি আবাসন, পরিবহন, ক্লাসরুম-ল্যাব তথা একাডেমিক ভবনসহ অন্যান্য শিক্ষা সংশ্লিষ্ট উপাদানগুলোর সংখ্যা। ফলশ্রুতিতে পরিবহন সংকট, ক্লাস রুম সংকট, ল্যাব সংকট, আবাসন সংকটে বিপর্যস্ত শিক্ষার্থীরা।
এমন বাস্তবতায় সংকট নিরসন না করেই প্রতি বছর এতো শিক্ষার্থী ভর্তি করানোর পেছনে যুক্তি দেখছেন না সাধারণ শিক্ষার্থীরা। বেশকিছু শিক্ষার্থীর দাবি, কৃষি অনুষদে অবশ্যই কিছুটা আসন সংখ্যা কমিয়ে দেওয়া উচিৎ। এমন দাবি করেছেন উক্ত অনুষদের কিছু শিক্ষার্থীও।
কৃষি কলেজ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত হলেও আসন সংখ্যা কমানো হয়নি কৃষি অনুষদের বলে অভিযোগ সেসব শিক্ষার্থীদের। হাবিপ্রবিতে ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে প্রায় দুই হাজার শিক্ষার্থীর মধ্যে কৃষি অনুষদেই ভর্তি করানো হয় তিনশত পঁচাত্তর জন শিক্ষার্থী।
আসন সংখ্যা কমানোর ব্যাপারে হাবিপ্রবির রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ ফজলুল হকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, 'আসন সংখ্যা কিছুটা কমানো হোক এটা আমিও চাই। কেননা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক সক্ষমতার সাথে সামঞ্জস্য রেখেই আসন সংখ্যা বাড়ানো বা কমানো উচিৎ'।
তবে কিছুটা বিপরীত মতামত দিয়েছেন ডিভিএম অনুষদের প্যাথলজি এ্যান্ড প্যারাসাইটোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. এস এম হারুন-উর-রশিদ। তিনি বলেন, 'আসলে আসন সংখ্য কমানো ঠিক হবে না। কেননা এতে করে অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাবে না'।
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মু. আবুল কাশেম বলেন, 'আসন সংখ্যা কমানোর ব্যাপারটি আমার একক কোনও সিদ্ধান্তের ব্যাপার নয়। বিষয়টি ভর্তি পরীক্ষা বিষয়ক অ্যাডকমের মিটিংয়ে আলোচনা করা যেতে পারে'।
এনএস/