কিশোরীকে ধর্ষণসহ পতিতাবৃত্তিতে বাধ্যকরণ, গ্রেফতার ৪
মোংলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ১০:১৩ পিএম, ১২ জানুয়ারি ২০২১ মঙ্গলবার
গ্রেফতারকৃত দেলো পাটোয়ারী
মোংলার সিগনাল টাওয়ার এলাকার এক কিশোরীকে প্রায় ৬ মাস ধরে আটকে রেখে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ওই কিশোরী মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারী) থানায় মামলা দায়েরের পর ধর্ষণসহ পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করার অপরাধে ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- দেলো পাটোয়ারী (৩০), শারমিন বেগম (৩০), শিউলি বেগম (৪৫) ও শিল্পী বেগম (৩৬)। তাদের বাড়ী মোংলার কাইনমারী ও সিগনাল টাওয়ার এলাকায়। আর ধর্ষিতা কিশোরী মোংলার সিগনাল টাওয়ার এলাকার মোহাম্মদ ইসমাইল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির ছাত্রী।
মোংলা থানার ওসি (তদন্ত) তুহিন মন্ডল মঙ্গলবার রাতে জানান, মোংলা পৌর শহরের সিগনাল টাওয়ার এলাকার জনৈক ব্যক্তির কিশোরী কন্যাকে ৬ মাস পূর্বে তার আত্মীয় শিউলি বেগম ও শারমিন বেগম কাজের কথা বলে শরণখোলার ধানসাগর এলাকায় নিয়ে যায়। এরপর সেখানে ওই কিশোরীকে রেখে বিভিন্ন প্রলোভন ও ভয়ভীতি দেখিয়ে পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করে তারা।
এরপর গত ১১ জানুয়ারী কিশোরীর মা-বাবা তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে মোংলায় নিয়ে আসে। সর্বশেষ তাকে দেলো পাটোয়ারী জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এর আগে বাড়ীতে রেখে এবং বিভিন্ন বাড়ীতে নিয়ে তাকে পতিতাবৃত্তি করায় তারা। কিশোরীকে তার পরিবার উদ্ধার করে আনার পর মঙ্গলবার থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন ওই কিশোরী। মামলা নং ৬/১২-০১-২১ইং।
মামলায় শারমিন বেগম (৩০), শিউলি বেগম (৪৫), পারভিন বেগম (৩৫), শিল্পী বেগম (৩৬), আলী হোসেন (৩৮), দেলো পাটোয়ারী (৩০) ও তায়েবা বেগমকে (৩০) আসামি করে মামলা দায়ের হয়েছে।
এ ঘটনায় কিশোরীকে ধর্ষণের দায়ে দেলো পাটায়ারীকে এবং জোর করে পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করায় তার আত্মীয় শারমিন, শিউলি ও শিল্পীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মামলার অপর আসামি আলী হোসেন, পারভিন বেগম, তায়েবা বেগম পলাতক রয়েছে। গ্রেফতারকৃতদেরকে বুধবার সকালে বাগেরহাট জেল হাজতে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এনএস/