ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

গ্রিন ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী রিপন হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৭:০৮ পিএম, ১৩ জানুয়ারি ২০২১ বুধবার | আপডেট: ০৭:৫৭ পিএম, ১৩ জানুয়ারি ২০২১ বুধবার

গ্রিন ইউনিভার্সিটির ফিল্ম, টেলিভিশন অ্যান্ড ডিজিটাল মিডিয়া (এফটিডিএম) বিভাগের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী রিপন আহমেদ হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষক-শিক্ষার্থীবৃন্দ।

বুধবার (১৩ জানুয়ারি) বেগম রোকেয়া সরনীতে অবস্থিত গ্রিন ইউনিভার্সিটির সিটি ক্যাম্পাসে দুপুর ১টায় এই মাবনবন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। ‘সড়ক দুর্ঘটনা না-কি পরিকল্পিত হত্যা’ ব্যানারে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠ তদন্ত করে জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার দাবি করেন উপস্থিত শিক্ষক-শিক্ষার্থীবৃন্দ।

এফটিডিএম ও সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারপার্সন ড. অলিউর রহমান মাবনবন্ধন ও প্রতিবাদসভায় বলেন, ‘পুলিশ সড়ক দুর্ঘটনা ধারণা দিলেও পরিবার ও সাংবাদিকসূত্রের তথ্য অনুযায়ী এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।  বিশ্ববিদ্যায়ের লেখাপড়া শেষ করে রিপন আহমেদ যখন সফল উদ্যোক্তার জীবন শুরু করতে যাচ্ছে, সেসময় এভাবে তার জীবন দিতে হবে, তা আমরা কোনোদিনই মেনে নিতে পারব না’।

বিভাগের শিক্ষক ও স্টুডেন্ট অ্যাফেয়ার্স-এর সহকারী পরিচালক ড. আফজাল হোসেন খান এবং সরকারী প্রক্টর ড. মেহেদী হাসান এই হত্যাকাণ্ডের দ্রুততম তদন্ত ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিসহ সুষ্ঠবিচার দাবি করেন।

এছাড়াও বিভাগীয় শিক্ষক মনিরা শরমিন বলেন, ‘ঘুম থেকে ওঠে কোনো শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনা শোনা একজন শিক্ষকের জন্য খুবই বেদনাদায়ক। পুলিশের ভাষ্য অনুযায়ী সড়ক দুর্ঘটনা হলেও এ ধরনের দুর্ঘটনাগুলো আসলে এক প্রকার পরিকল্পিত হত্যা। এরকম দুর্ঘটনা যেন ভবিষ্যতে আর না ঘটে সে লক্ষ্যে এই ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত ও বিচার হওয়া অত্যন্ত জরুরি।

মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন এফটিডিএম-জেএমসি বিভাগের শিক্ষকসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ।

উল্লেখ্য, গত ১১ জানুয়ারি রাতে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার করের গাও রোডের পাশে আবর্জনার স্তুপ থেকে শিক্ষার্থী রিপন আহমেদ এর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠিয়েছে। শরীরে অনেক আঘাতে চিহ্ন আছে কিন্তু ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে না পাওয়া পর্যন্ত মৃত্যুর সঠিক কারণ নিশ্চিত করা সম্ভব হচ্ছেনা। তবে রিপনের পরিবারের দাবি তাকে ব্যবসায়িক কারণে হত্যা করে কে বা কারা ফেলে রেখে গেছেন।

 

 

এসি