নাকে-মুখের করোনা প্রতিরোধ করবে ‘বঙ্গসেইফ’ (ভিডিও)
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০২:৩৮ পিএম, ১৪ জানুয়ারি ২০২১ বৃহস্পতিবার
করোনাভাইরাস প্রতিরোধী নাকের স্প্রে ‘বঙ্গসেইফ’ তৈরির দাবি করেছে বাংলাদেশ রেফারেন্স ইনস্টিটিউট ফর কেমিক্যাল মেজারমেন্টস (বিআরআইসিএম)। প্রতিষ্ঠানটির গবেষকরা বলছেন, নাকে-মুখে করোনা ভাইরাস থাকলে তা প্রতিরোধে কাজ করবে এই স্প্রে। দাম ধরা হয়েছে ১শ’ টাকা। অনুমোদনের জন্য আগামীকাল বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা পরিষদ-বিএমআরসিতে পাঠানো হবে জানিয়েছে বিআরআইসিএম।
বাংলাদেশ রেফারেন্স ইনস্টিটিউট (বিআরআইসিএম) এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজের যৌথ গবেষণায় উদ্ভাবন করা হয়েছে করোনা প্রতিরোধী নাজাল স্প্রে বঙ্গসেইফ।
গবেষকরা জানান, মে মাসে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত ২শ’ রোগীর উপর ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চালানো হয়। ফলাফল আশাব্যঞ্জক।
ডিএমসি নাক কান গলা বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. শেখ নুরুল ফাত্তাহ রুমি বলেন, সাধারণ করোনাভাইরাসটা নাক, মুখ এবং চোখ দিয়ে আমাদের শরীরে প্রবেশ করে। প্রবেশের সময়ে তারা নাকের পেছনে এবং মুখের পেছনে কিছুক্ষণ অবস্থান করে। যদি ওই সময়টাতে সেখানে স্প্রে ব্যবহার করতে পারি তাহলে সেই ভাইরাসগুলো ধ্বংস হয়।
আরেক বিশেষজ্ঞ ডা. মোস্তফা কামাল আরেফিন বলেন, মাস্ক, পিপিই পড়েন তারপর ভ্যাকসিন নেন- কোন কিছুতেই নিষেধ নেই কিন্তু স্প্রে নিলে এর কার্যকারিতা আরও বাড়াবে। এটা সবাই এজন্য দিবে- যার হয়নি সে যেন আক্রান্ত না হন, যার হয়েছে তার যেন ভাইরাল লোডটা কমে। যেহেতু এটা ভাইরাসকে কিল করে বা ধ্বংস করতে সক্ষম।
কোভিড, নন-কোভিড রোগীদের জন্য বঙ্গসেইফ নাজাল স্প্রে। তিন থেকে চার ঘণ্টায় ভাইরাস নিমূর্ল করবে। এর কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই জানালেন বিআরআইসিএম মহাপরিচালক।
বিআরআইসিএম মহাপরিচালক ড. মালা খান বলেন, আমি যদি কোভিড হয়ে থাকি, আমার ভাইরাস যাতে অন্যকে অ্যাটাক করতে না পারে বা আপনার মুখে যদি প্রবেশ করেও থাকে এই লেয়ারটা আপনাকে তিন থেকে চার ঘণ্টা রক্ষা করবে, সেটাকে কিল করে ফেলবে। সুতরাং যে নন-কোভিড সে ব্যবহার করবে, যে আর্লি স্টেজে আছে সে ব্যবহার করবে, তাহলে তার ভাইরাল লোডটা কমবে। ভাইরাল লোডটা কমলে সেটা আর দেহের ভেতরে প্রবেশ করতে পারবে না। ফলে আপনার ফুসফুস বা অন্যান্য অঙ্গগুলোকে এটা অ্যাটাক করতে পারবে না।
বিএমআরসি এবং ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের অনুমোদনের পর বাজারে পাওয়া যাবে বঙ্গসেইফ নাজাল স্প্রে।
মহাপরিচালক আরও জানালেন, ২০ এমএলের একটা একজন মানুষের এক মাসের ডোজ। সেটার খরচ ১শ’ টাকা।
ভিডিও :
এএইচ/এসএ/