ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

৬ ঘন্টা পর বেনাপোলে আমদানি-রফতানি সচল

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৯:০৯ পিএম, ১৫ জানুয়ারি ২০২১ শুক্রবার

প্রায় ৬ ঘন্টা পর কাস্টমস ও সিএন্ডএফ এজেন্টস স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের মধ্যে সৃষ্ট জটিলতার অবসান হয়েছে। কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেয়ায় সচল হয়েছে আমদানি-রফতানি ও পণ্য খালাস কার্যক্রম।

বেনাপোল বন্দরে চোরাচালানে সহযোগীতার অভিযোগ এনে কাস্টমস কর্তৃক এক সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ সদস্যকে লাঞ্ছিত, কাস্টমস পারমিট কার্ড বাতিল ও মামলা প্রক্রিয়ার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুর ১২টা থেকে স্টাফ সদস্যরা কর্মবিরতি ডাক দিয়ে কাস্টমস কার্গো শাখার কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়। একই সঙ্গে কাস্টমস হাউজের সামনে বিক্ষোভ প্রতিবাদ সভা করে। ১০ দফা দাবিসহ চলমান সমস্যার সমাধান না হওয়া পর্যন্ত পণ্য খালাস বন্ধ থাকবে বলে জানানো হয়।

ভুক্তভোগী সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ সদস্য আক্তারুজ্জামান আক্তার জানান, বুধবার (১৩ জানুয়ারি) রাতে একটি কয়লার ট্রাক যখন ভারতের পেট্রাপোল বন্দর থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করে তখন আমি বর্ডারের কার্গো শাখা থেকে ওই পণ্যের মেনিফেস্ট নাম্বার ও ইনভয়েস তুলে বাড়িতে চলে আসি। পরবর্তীতে রাতে কাস্টমস কর্মকর্তারা আমাকে ফোন করে বন্দরের ট্রাক টার্মিনালে নিয়ে যায়। সেখানে গিয়ে দেখি একটি ভারতীয় ট্রাক থেকে ফেনসিডিল ও আমি যে ট্রাকটির কাগজপত্র তুলি সে ট্রাকটি থেকে ওষুধ উদ্ধার করে। সে সময় কাস্টমস কর্মকর্তারা আমার কাছ থেকে কাস্টমস কার্ডটি নিয়ে নেয়। ট্রাকটি ও আমাকে নিয়ে কাস্টমস হাউজের মধ্যে আসে। পরে তারা একটা কাগজে আমার সই নিয়ে কাস্টমস কার্ড সিজ করে নিয়ে রাত ১২টার দিকে আমাকে ছেড়ে দেয়। কাস্টমস কর্মকর্তারা বলে অবৈধ পণ্য আনার অপরাধে আমার নামে মামলা হবে বলে হুমকি দেয়।

সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান জানান, অপরাধ করবে ভারতীয় ট্রাক চালক আর তার দোষ পড়বে সিঅ্যান্ডএফ স্টাফদের উপর। এটা কোনভাবে গ্রহণযোগ্য না। যে কারণে প্রতিবাদমুখর হয় সিঅ্যান্ডএফ স্টাফরা। এতে করে আমদানি-রফতানি বন্ধ থাকায় প্রবেশের অপেক্ষায় বন্দরের দুই পারে শত-শত ট্রাক পণ্য নিয়ে আটকা পড়ে। এসব পণ্যের মধ্যে রয়েছে শিল্প-কারখানার কাঁচামালসহ খাদ্য সামগ্রী ছিল।

পরে বৃহস্পতিবার দুপুরের পর কাস্টমস কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা হওয়ায় প্রায় ৬ ঘন্টা পর কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে নিলে সন্ধ্যা ৬টা থেকে পণ্য খালাস ও আমদানি-রফতানি সচল হয়।

বেনাপোল সিএন্ডএফ স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মুজিবর রহমান জানান, কাস্টমস কর্তৃপক্ষ ও সিএন্ডএফ নেতাকর্মীদের মধ্যে আলোচনা করে বিষয়টি সমাধান করা হয়েছে। ভুক্তভোগী আক্তারুজ্জামান আক্তারের কাস্টমস কার্ড ফিরিয়ে দিয়েছেন ও তার নামে কোনো মামলা হবে না বলে জানিয়েছেন কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।

বেনাপোল কাস্টম হাউজের অতিরিক্ত কমিশনার ড. মো. নেয়ামুল ইসলাম জানান, বিষয়টি নিয়ে দুই পক্ষ আলোচনা করে সমাধান করা হয়েছে। পরে সিদ্ধান্ত হয়েছে ভারতীয় আমদানি ট্রাকে কোনো প্রকার অবৈধ পণ্য পাওয়া গেলে সেটার দায়ভার সিএন্ডএফ স্টাফ দায়ী থাকবে না। সেই সাথে চোরাচালান প্রতিরোধে কাস্টমস সদস্যদের আরো নিরাপত্তা জোরদার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যাতে করে পরবর্তীতে এ ধরণের কোনো ঘটনা না ঘটে। 
কেআই//