ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

বসুরহাট পৌরসভা নির্বাচন: পর্যবেক্ষণে ১৫১ জন সাংবাদিক! 

নোয়াখালী প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১২:২৪ পিএম, ১৬ জানুয়ারি ২০২১ শনিবার

আলোচিত নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভা নির্বাচনে চলছে ভোটগ্রহণ। শনিবার সকাল ৮টা থেকে ইভিএম মেশিনে শুরু হয় ভোট। যা চলবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। এতে ২১ হাজার ১১৫ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। 

নির্বাচনে সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করার অনুমতি পেয়েছেন ১৫১ জন সাংবাদিক। তাদের যাতায়তের জন্য ৩৪টি যানবাহনের অনুমতি দিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। 

নোয়াখালী জেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ রবিউল আলম জানান, ‘তার অফিস থেকে ৮৭ জন সাংবাদিক ও সাংবাদিকদের যাতায়তের জন্য ২২টি জানবাহনের অনুমতি প্রদান করা হয়েছে।’

সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন অফিসার সাইয়েদ আনোয়ার খালেদ জানান, ‘তার অফিস থেকে ৬৪ জন সাংবাদিক ও সাংবাদিকদের যাতায়তের জন্য ১২টি জানবাহনের অনুমতি দেয়া হয়েছে।’

জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, একটি নির্ভেজাল ও সংশয় মুক্ত নির্বাচন অনুষ্ঠানে এখানে ৯টি কেন্দ্রে ৯ জন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও একজন জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেটসহ ১০ জন ম্যাজিষ্ট্রেট, ৩টি টিমে ২৪ জন র‌্যাব, ৮০ জনের ৪ প্লাটুন বিজিবি সদস্য এবং ২শ’পুলিশ দেয়া হয়েছে। এছাড়াও প্রতিটি কেন্দ্রে নিরাপত্তা ও আইন-শৃঙ্খলার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সার্বক্ষণিক থাকবে ৫ জন পুলিশ ও ১৩ জন করে আনসার সদস্য। ৩টি কেন্দ্রের জন্য একটি স্ট্রাইকিং ফোর্স ও ৭টি জরুরী টিম রাখা হয়েছে। 

বসুরহাট পৌরসভায় মোট ভোটার সংখ্যা ২১ হাজার ১১৫ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১০ হাজার ৬২১ এবং মহিলা ১০ হাজার ৪৯৪ জন। মোট ৯টি কেন্দ্রে বুথ সংখ্যা ৬১টি। 

নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন ৩ জন, সংরক্ষিত ৩টি মহিলা কাউন্সিলর পদে ৭ জন এবং ৯টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২৫ জনসহ মোট ৩৫ জন প্রার্থী ভোটযুদ্ধে নেমেছেন। 

বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতির কেন্দ্রীয় মহাসচিব ও দৈনিক যুগান্তরের নোয়াখালী প্রতিনিধি মনিরুজামান চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের জেলায় এত সাংবাদিক নেই, পর্যবেক্ষণ কার্ডধারীদের অধিকাংশই নামধারী সাংবাদিক। যেকোনো নির্বাচন আসলেই তথাকথিত সাংবাদিকদের আবির্ভাব হয়। এদের মধ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ক্যাডারও রয়েছে। অনেকে বিভিন্ন কম্পিউটার দোকান থেকে বিভিন্ন গণমাধ্যমের নামে ভুয়া পরিচয়পত্র বের করে পর্যবেক্ষণ কার্ডের জন্য আবেদন করে। রিটার্নিং কর্মকর্তার উচিৎ কার্ড দেওয়ার আগে যাচাই-বাছাই করে নেয়া।’

নোয়াখালী জেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ রবিউল আলম বলেন, ‘এ নির্বাচন ঘিরে ঢাকা থেকে অনেক সাংবাদিক এসেছেন। তাছাড়া জেলা ও উপজেলার সাংবাদিকরা রয়েছেন। সকলের কাগজ পত্র দেখে কার্ড ইস্যু করা হয়েছে।’

উল্লেখ্য, এ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের পক্ষে লড়াই করছেন সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই আবদুল কাদের মির্জা। যিনি স্থানীয় আওয়ামী লীগ থেকে শুরু করে জাতীয় নির্বাচন নিয়ে তার ও জাতীয় নির্বাচন এমনকি স্থানীয় প্রশাসনকে নিয়ে নানা সমালোচনা করেন। 

এতে করে ক্ষমতাসীন দলে তৈরি হয় নানা আলোচনা-সমালোচনা। আর এতে করেই তিনি আলোচনায় আসেন। নির্বাচন নিয়ে তার বিরূপ মন্তব্য চলতে থাকায় আজকের নির্বাচনে কড়া সতর্ক হয় নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসন। সুষ্ঠু নির্বাচনে নেয়া হয় সব পৌরসভা থেকে বাড়তি ব্যবস্থা। 
এআই/এসএ/