ঢাকা, সোমবার   ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪,   পৌষ ৯ ১৪৩১

নতুন রূপে লালদীঘি ময়দান (ভিডিও)

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৩:০৩ পিএম, ১৭ জানুয়ারি ২০২১ রবিবার

নতুন রূপে সাজছে চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক লালদীঘি ময়দান। দীর্ঘদিন অবহেলিত ময়দানের উন্নয়ন কাজ শুরু হয় ২০২০ সালে। জাতির পিতা যে স্থান থেকে ছয়দফা ঘোষণা করেছিলেন সেখানে তৈরি হয়েছে মুক্তমঞ্চ। টেরাকোটার কারুকাজে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৬শে মার্চ স্বাধীনতা দিবসে নতুন করে সাজানো ময়দানের উদ্বোধন করবেন।

ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে পাকিস্তানি শাসকদের বিরুদ্ধে আন্দোলন-সংগ্রামের সাক্ষী এই লালদীঘি ময়দান। ঐতিহাসিক মাঠটি দীর্ঘদিন অবহেলায় পড়েছিলো। গত বছর সরকার মাঠটিকে দৃষ্টিনন্দন করতে কাজ শুরু করে। দীর্ঘদিন পর হলেও ঐতিহাসিক ময়দানটি সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়ায় খুশি রাজনীতিবিদেরা।

চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান বলেন, অনেক স্মৃতিবিজড়িত, অনেক মণিষী-রাজনীবিদদের পদচারণায় লালদীঘি মাঠ মুখরিত ছিল, এখনও আছে।

১৯৬৬ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি জাতির পিতা এই লালদীঘি ময়দানে ছয় দফা ঘোষণা করেছিলেন। 

চট্টগ্রাম মুক্তিসংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধ গবেষণা কেন্দ্র ট্রাস্টের চেয়ারম্যান ডা. মাহফুজুর রহমান বলেন, এই স্থানটিকে সংরক্ষণের জন্য সরকার যে পদক্ষেপ নিয়েছে এটাকে আমরা সাধুবাদ জানাই। একইসাথে সব ঐতিহাসিক স্থানগুলো সংরক্ষণ করার দাবি জানাই। 

নতুন প্রজন্মের কাছে লালদীঘি মাঠের ইতিহাস তুলে ধরতে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর প্রায় চার কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। বঙ্গবন্ধু মাঠের যে স্থানে দাঁড়িয়ে ছয় দফা ঘোষণা করেছিলেন সেখানে তৈরি হয়েছে মুক্তমঞ্চ।

শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জালাল উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন থেকে আরম্ভ করে স্বাধীনতা সংগ্রাম পর্যন্ত সব কর্মসূচি যেন নতুন প্রজন্ম জানতে পারে সেই উদ্দেশ্যেই এই প্রকল্পটি।

মুক্তমঞ্চ ছাড়াও ১৮টি টেরাকোটার কাজে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। মঞ্চের ম্যুরাল তৈরি করেছেন শিল্পী হামিদুর রহমান। আর টেরাকোটার কাজ করেছেন শিল্পী কীরিটি রঞ্জন বিশ্বাস। 

চলতি মাসেই মাঠের উন্নয়ন কাজ শেষ হবে বলে জানিয়েছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান।

ঠিকাদার মো. গোলাম মূর্তজা বলেন, ইতিমধ্যে ৯০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে, জানুয়ারির মধ্যেই শতভাগ কাজ সম্পন্ন হবে। 

বালুময় লালদীঘি মাঠ এখন সবুজ চত্ত্বর। তৈরি হয়েছে ওয়াকওয়ে। মাঠটি উন্মুক্ত হওয়ার অপেক্ষায় চট্টগ্রামবাসী।

ভিডিও-

এএইচ/