নোয়াখালীতে আবারও বিবস্ত্র করে নির্যাতন, মামলা
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১১:৫৩ এএম, ১৮ জানুয়ারি ২০২১ সোমবার
নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার চানন্দী ইউনিয়নের আদর্শ গ্রামে অনৈতিক কাজে জড়িত থাকার অপবাদ দিয়ে এক নারী ও পল্লী চিকিৎসককে আটকে রেখে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। পল্লী চিকিৎসককে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের সময় মুঠোফোনে ধারণ করা একটি ভিডিওচিত্র এবং তাদের দুজনকে গাছের সাথে বেঁধে রাখার ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। তবে, এ ঘটনায় স্থানীয়ভাবে পরস্পর বিরোধী বক্তব্য পাওয়া গেছে।
খবর পেয়ে রোববার (১৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় জেলা পুলিশ সুপারসহ হাতিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এ ঘটনায় ওই নারী আদালতে একটি পিটিশন মামলা দায়ের করেন। বিচারক আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে এ বিষয়ে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
পুলিশ ও স্থানীরা জানিয়েছে, গত ১ জানুয়ারি হাতিয়ার আদর্শ গ্রামের ওই নারীকে স্থানীয় এক পল্লী চিকিৎসকের সাথে অনৈতিক কাজে জড়িত থাকার অপবাদ দিয়ে একটি ঘরের আটকে রেখে নির্যাতন করে ৫/৬ জন যুবক। এক পর্যায়ে ওই ব্যক্তি ঘরের ভেন্টিলেটর ভেঙ্গে পালিয়ে আত্মরক্ষার চেষ্টা করলেও তারা তাকে আবারও আটক করে। এরপর তাদের দুজনকে ঘরের পাশে সুপারি গাছের সাথে বেঁধে রেখে পিটিয়ে জখম করে। এ সময় পল্লী চিকিৎসককে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের সময় মুঠোফোনে ধারণ করা একটি ভিডিওচিত্র এবং তাদের দুজনকে গাছের সাথে বেঁধে রাখার ছবি গত শনিবার রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।
এদিকে এ ঘটনায় ওই নারী বাদী হয়ে গত ৫ জানুয়ারি জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল-২ এ একটি পিটিশন মামলা দায়ের করেন। মামলার এজাহারে ওই নারী স্থানীয় জিয়া ওরফে জিহাদ, ফারুক, এনায়েত, ভুট্টু মাঝি ও ফারুক বাহিনী তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে শাড়ি ব্লাউজ ছিড়ে নির্যাতন চালায় বলে অভিযোগ করেন।
রোববার সন্ধ্যায় জেলা পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেনসহ হাতিয়া থানায় পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এ সময় পুলিশ সুপার জানান, ‘ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি একজন পুরুষের। তবে, এর সাথে একজন নারীর চিৎকারের শব্দ শোনা যাচ্ছে। পুরো ঘটনাটি পুলিশ খতিয়ে দেখছে। এ বিষয়ে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়া হবে।’
এআই/এসএ/