আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী আজ
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০২:৫২ পিএম, ২২ জানুয়ারি ২০২১ শুক্রবার | আপডেট: ০২:৫২ পিএম, ২২ জানুয়ারি ২০২১ শুক্রবার
প্রখ্যাত সংগীত পরিচালক, গীতিকার, সুরকার ও বীরমুক্তিযোদ্ধা আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০১৯ সালের ২২ জানুয়ারি রাজধানীর বাড্ডায় নিজ বাসায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল ১৯৫৭ সালের ১ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। তিনি দেশের একজন সংগীত ব্যক্তিত্ব। একাধারে গীতিকার, সুরকার ও সংগীত পরিচালক। ১৯৭০ দশকের শেষ লগ্ন থেকে আমৃত্যু বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পসহ সংগীতশিল্পে সক্রিয় ছিলেন।
ইমতিয়াজ বুলবুল ১৯৭৮ সালে মেঘ বিজলী বাদল সিনেমাতে সংগীত পরিচালনার মাধ্যমে চলচ্চিত্রে কাজ শুরু করেন। তিনি স্বাধীনভাবে গানের অ্যালবাম তৈরি করেছেন এবং অসংখ্য চলচ্চিত্রের সংগীত পরিচালনা করেছেন।
সাবিনা ইয়াসমিন, রুনা লায়লা, সৈয়দ আবদুল হাদি, এন্ড্রু কিশোর, সামিনা চৌধুরী, খালিদ হাসান মিলু, আগুন, কনক চাঁপাসহ বাংলাদেশি প্রায় সব জনপ্রিয় সংগীতশিল্পীদের নিয়ে কাজ করেছেন তিনি। আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল নিয়মিত গান করেন ১৯৭৬ সাল থেকে।
তার সুর ও সংগীতে উল্লেখযোগ্য গানের তালিকায় রয়েছে - ‘সব কটা জানালা খুলে দাও না’, ‘মাঝি নাও ছাইড়া দে’, ‘সেই রেললাইনের ধারে’, ‘সুন্দর সুবর্ণ তারুণ্য লাবণ্য’, ‘একতারা লাগে না আমার দোতারাও লাগে না’, ‘আমার সারা দেহ খেও গো মাটি’, ‘আমার বুকের মধ্যেখানে’, ‘আমার বাবার মুখে প্রথম যেদিন’, ‘আমি তোমার দুটি চোখে দুটি তারা হয়ে থাকব’, ‘আমার গরুর গাড়িতে বউ সাজিয়ে’, ‘পৃথিবীর যত সুখ আমি তোমারই ছোঁয়াতে খুঁজে পেয়েছি’, ‘তোমায় দেখলে মনে হয়’, ‘বাজারে যাচাই করে দেখিনি তো দাম’, ‘আম্মাজান আম্মাজান’, ‘পড়ে না চোখের পলক’, ‘যে প্রেম স্বর্গ থেকে এসে’, ‘প্রাণের চেয়ে প্রিয়’, ‘অনন্ত প্রেম তুমি দাও আমাকে’, ‘ঘুমিয়ে থাকো গো সজনী, ‘তুমি মোর জীবনের ভাবনা’, ‘তুমি আমার এমনই একজন’ ‘একাত্তরের মা জননী কোথায় তোমার মুক্তিসেনার দল’। এরমধ্যে অনেকগান তিনি নিজেই লিখেছেন।
তিনি রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ সম্মান একুশে পদক, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার এবং রাষ্ট্রপতির পুরস্কারসহ অসংখ্য পুরস্কারে ভূষিত হন। তিনি ১৯৭১ সালে মাত্র ১৫ বছর বয়সে বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন।
এসএ/