ভারতের উপহার দেওয়া ভ্যাকসিন পরিক্ষীত: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৭:৩১ পিএম, ২৪ জানুয়ারি ২০২১ রবিবার | আপডেট: ০৭:৩৩ পিএম, ২৪ জানুয়ারি ২০২১ রবিবার
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ভারতের দেয়া অক্সফোর্ডের অ্যাস্ট্রেজেনেকা ভ্যাকসিন বিশ্বের সবচেয়ে সহনশীল ও কার্যকর হিসেবে পরিগণিত হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘এই ভ্যাকসিন ভারত ও ইউকেতে পরীক্ষা শেষেই দেশে এসেছে। অন্যান্য ভ্যাকসিনের তুলনায় আমাদের দেশের আবহাওয়ায় এই ভ্যাকসিন সবচেয়ে বেশি মানানসই। তবে যেকোন ভ্যাকসিন প্রয়োগে সামান্য পার্শপ্রতিক্রিয়া থাকতেই পারে।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আজ রোববার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত অনির্ধারিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
জাহিদ মালেক বলেন, বর্তমানে সরকার দেশব্যাপী ৯ ধরনের ভ্যাকসিন প্রয়োগ করছে। সেখানেও ছোটখাটো কিছু পার্শ প্রতিক্রিয়া থাকে। ভ্যাকসিন প্রয়োগে কোন ধরনের পার্শ প্রতিক্রিয়া দেখা দিলে তার জন্য স্বাস্থ্যখাতের টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ভ্যাকসিন পরবর্তী পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে টেলিমেডিসিন সেবার ব্যবস্থাও করা হয়েছে।
তিনি বলেন, সামান্য পার্শ প্রতিক্রিয়ার ভয়ে করোনার মতো জীবনঘাতি ভাইরাস প্রতিরোধে টিকা না নেবার কোন কারণ নেই। তবে, ভ্যাকসিন প্রয়োগে সরকার কাউকে বল প্রয়োগ করবে না। সবাই নিজেদের ইচ্ছা অনুযায়ী স্বাধীনভাবে ভ্যাকসিন গ্রহণ করতে পারবেন।
ভ্যাকসিন প্রয়োগের ক্ষেত্রে রাজনীতিবিদ বা উচ্চপদস্ত কর্মকর্তাদের আগে দেয়া হবে কি-না, এমন প্রশ্নের উত্তরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, “ভ্যাকসিন প্রয়োগে অবশ্যই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করতে হবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী প্রথমে স্বাস্থ্যকর্মীদের দেবার কথা উল্লেখ আছে। একারণে প্রথম দফায় অনেক রাজনীতিবিদ ভ্যাকসিন নিতে ইচ্ছুক হলেও দেয়া যাচ্ছে না। তবে, পর্যায়ক্রমে রাজনীতিবিদ, বয়স্ক ব্যক্তি থেকে শুরু করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী অন্যান্য আগ্রহী ব্যক্তিদেরকে ভ্যাকসিন দেয়া হবে।”
করোনায় অ্যান্টিবডি টেস্ট করা প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, এখন থেকে সরকার কর্তৃক অনুমোদিত প্রতিষ্ঠান থেকে দেশের সরকারি ও বেসরকারিভাবে অ্যান্টিবডি টেস্ট করা যাবে। ভ্যাকসিনের পরবর্তী লট কবে নাগাদ আসতে পারে এমন প্রশ্নের উত্তরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, ২০ লাখ ভ্যাকসিন ভারত সরকার উপহার হিসেবে ইতোমধ্যেই দিয়েছে এবং আগামীকাল (২৫ জানুয়ারি) চুক্তি অনুযায়ী আরো ৫০ লাখ ভ্যাকসিন দেশে আসবে। এই ৭০ লাখ ভ্যাকসিন দেশে রাখা ও বিতরণের সকল প্রস্তুতি ইতোমধ্যেই সরকারের নেয়া হয়েছে।”
ব্রিফিংকালে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল মান্নান এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. আলী নূর প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এসি