প্রযুক্তির ব্যবহার শিশুর মনোবিকাশে বড় বাধা (ভিডিও)
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১২:৪০ পিএম, ২৫ জানুয়ারি ২০২১ সোমবার
করোনাকালে ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহারে হুমকির মুখে শিশুর মানসিক বিকাশ। অনলাইনে ক্লাস করতে গিয়ে মোবাইল ও ল্যাপটপ নির্ভর হয়ে পড়ছে শিশুরা। আর এ সুযোগেই অনলাইন গেমে আসক্তি আসছে। মনোবিজ্ঞানী মেখলা সরকার জানালেন, অনলাইন অভ্যস্ততা শিশুর হাড়, সন্ধি ও পেশীর সমস্যার পাশাপাশি মনোবিকাশের জন্যও বাধা। এ অবস্থায় অভিভাবকদের সচেতন হওয়ার পরামর্শ এই বিশেষজ্ঞের।
গত এক বছরেই করোনা মহামারির কালো ছায়া ঘিরে রেখেছে শিক্ষাঙ্গনকে। সংক্রমণ শুরুর পর গত ১৭ মার্চ থেকে বন্ধ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। তবে শিক্ষাক্রমের ধারাবাহিকতা রক্ষা ও অভ্যস্ততা রাখতে চালু করা হয় অনলাইন পাঠদান।
তবে এর দীর্ঘমেয়াদে আছে ভয়াবহ প্রভাব। বিশেষ করে শিশুদের মানসিক ও শারীরিক বিকাশে স্থবিরতা সৃষ্টি করতে পারে, অথবা দৈহিক বিন্যাসেও আসতে পারে অস্বাভাবিক পরিবর্তন।
অনলাইন ক্লাসে অংশ নিতে দ্বারস্থ হতে হয় স্মার্টফোন কিংবা ল্যাপটপে। নির্দিষ্ট সময়ের পাঠগ্রহণ শেষে কৌতুহলবশত শিশুরা ঘাঁটতে শুরু করে ভার্চুয়াল দুনিয়া। কেউবা গেমসের প্রতি আসক্ত হয়ে ওঠে।
শিক্ষার্থীরা জানান, আগের স্কুল ক্লাসই ভাল ছিল, এখন অনলাইন ক্লাস বোয়িং লাগে। আগে বন্ধুদের সাথে ভালো মতো খেলতে পারতাম, এখন খেলতেও পারি না।
সুযোগ দিতে কতটা বাধ্য অভিভাবকরা এ নিয়েও আছে নানা প্রশ্ন।
অভিভাবকরা বলেন, অনিয়মের কারণে বাচ্চারা মোবাইলের প্রতি বেশি ঝুঁকে গেছে। যত রকমের গেইমস আছে, ব্লগগুলো আছে এগুলো দেখার প্রতি তাদের ঝোঁকটা আরও বেড়ে গেছে।
দীর্ঘসময় ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস ব্যবহারে হাড়, সন্ধি ও পেশীর সমস্যা প্রকট হয়। পাশাপাশি ভয়াবহ প্রভাব পড়ে শিশুর মানসিক স্বাস্থ্যে।
মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. মেখলা সরকার বলেন, একটা হলো অনলাইন গেইম এডিকশান, এটা খুব হচ্ছে। বাচ্চাদের মধ্যে ইনটেবিলিটি কনসেনট্রেশন কম হওয়ায় তা অনেক বেশি হচ্ছে। সাথে আর যে সমস্যাটি হচ্ছে, অনলাইন ক্লাসের মাধ্যমে নানা রকমের চ্যাট বক্সে কানেকশন হয়ে যাচ্ছে। এতে অন্যান্যদের সাথে বাচ্চাদের মধ্যে রিলেশনশীপ গড়ে উঠছে।
শিশুর সহজাত কৌতুহল থেকে সৃষ্ট জটিলতা দীর্ঘমেয়াদী হলে অনিশ্চিত ভবিষ্যতের আশংকা আছে, তাই অভিভাবকদের সচেতনতায় বেশ কিছু পরামর্শ দিলেন এই বিশেষজ্ঞ।
ডা. মেখলা সরকার বলেন, বিশেষ করে এই সমস্যাটি দেখা যায় কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে। কারণ এই সময়টাতে তাদের মধ্যে প্রকাশ করার আগ্রহটা বেশি, তাই নানা বিষয়ে কৌতুহল হয় জানতে চায়। কাজেই পর্যবেক্ষণটা খুব জরুরি, অবশ্যই অভিভাবকদের এই কাজটি করতে হবে। আমি প্রত্যেক অভিভাবকদেরকে অনুরোধ করবো যেন মোবাইল ডিভাইসটা না দিয়ে ল্যাপটপ বা ডেস্কটপ দিবেন। তবে সবচেয়ে ভালো ডেস্কটপ।
শিশুর সঠিক দেহ বিন্যাস ও সুস্থ্য মানসিক বিকাশে কমাতে হবে ডিভাইস নির্ভরতা।
ভিডিও :
এএইচ/এসএ/