প্রমথ চৌধুরীর পৈতৃক নিবাস দখলমুক্ত, স্মৃতি সংগ্রহশালা গড়ার দাবি
প্রকাশিত : ১১:৫৫ এএম, ২৭ মে ২০১৭ শনিবার
বিংশ শতাব্দীর অন্যতম প্রাবন্ধিক প্রমথ চৌধুরী। বাংলা চলিত ভাষারীতি প্রবর্তনে অগ্রণী পুরুষ ছিলেন তিনি। বাংলা সাহিত্যে প্রথম বিদ্রুপাত্মক প্রবন্ধও রচনা করেন তিনি। পাবনা জেলার চাটমোহরের হরিপুর গ্রামে ছিলো তাঁর পৈতৃক নিবাস। সম্প্রতি দখলমুক্ত হওয়া সেই ভিটায় স্মৃতি সংগ্রহশালা গড়ে তোলার দাবি উঠেছে।
বাংলা সাহিত্যকে সৃমদ্ধ করেছিলেন যেসব সাহিত্যিক তাঁদের মধ্যে অন্যতম প্রমথ চৌধুরী। বাংলা ভাষায় চলিত গদ্য রীতির প্রবর্তক তিনি। এই ভাষারীতি প্রচারের জন্য সম্পাদনা শুরু করেন সবুজপত্র পত্রিকা। রবীন্দ্রনাথ তাঁর `শেষের কবিতা` সবুজপত্র পত্রিকায় প্রথম প্রকাশ করেন। বীরবল ছদ্মনামে বিদ্রুপাত্মক রচনাতেও অগ্রণী ভূমিকা রেখেছিলেন তিনি। বই লিখেছেন রায়তের কথা, চার ইয়ারী কথা, বীরবলের হালখাতা, প্রবন্ধ সংগ্রহ ইত্যাদি।
প্রমথ চৌধুরীর জন্ম যশোরে ১৮৬৮ সালে ৭ আগস্ট। বাবা দুর্গাদাস চৌধুরী ছিলেন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট। পাবনার চাটমোহরের হরিপুর গ্রামে ছিল তাঁর পৈত্রিক ভিটা।
১৮৯৩ সালে আইন পড়ার জন্য ইংল্যাণ্ড যান তিনি। দেশে ফিরে কিছুদিন কলকাতা হাইকোর্টে প্র্যাকটিস করেন। ১৮৯৯ সালে বিয়ে করেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-এর বড়ভাই সতেন্দ্রনাথ ঠাকুরের মেয়ে ইন্দিরাদেবীকে।
’৪৭ সালে দেশভাগের পর জাল দলিলের মাধ্যমে অবৈধ দখলদারদের হাতে চলে যায় তাঁর বাড়িটি। চাটমোহরের মানুষের দীর্ঘদিনের আন্দোলনের মুখে সম্প্রতি দখলমুক্ত হয়েছে সেই বাড়ি।
প্রমথ চৌধুরীর স্মৃতি ধরে রাখতে তার নামে স্মৃতি-সংগ্রহশালা গড়ে তোলার দাবী জানান সংস্কৃতিকর্মীরা।
১৯৪৬ সালের ২ সেপ্টেম্বর তাঁর প্রিয় শান্তিনিকেতনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এই সাহিত্যিক।