ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

দুর্নীতির দায় থেকে অব্যাহতি হল না দুদকের সুপারিশেও

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি 

প্রকাশিত : ০৮:৫৫ পিএম, ২৫ জানুয়ারি ২০২১ সোমবার

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রুহিয়া থানার ২১ নং ঢোলার হাট ইউনিয়নের বিভিন্ন ভূয়া প্রকল্প দেখিয়ে জিআর প্রকল্পের চাল আত্মসাতের অভিযোগে অভিযুক্ত একজন ইউপি চেয়ারম্যান ও পাঁচজন সরকারি কর্মকর্তাকে অব্যাহতি দিতে দুর্নীতি দমন কমিশনের সুপারিশ এফআরটি গ্রহণ করেনি আদালত। 

সোমবার শুনানীর দিন দুদকের প্রতিবেদন ও সুপারিশ গ্রহণ না করে দুর্নীতি দমন কমিশনের একজন সিনিয়র কর্মকর্তাকে দিয়ে পুনরায় তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছেন ঠাকুরগাঁও জেলা ও দায়রা জজ মামুনুর রশিদ। 

উল্লেখ্য, জি এর প্রকল্পের চাল আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়ার পর দুর্নীতি দমন কমিশন উক্ত ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সীমান্ত কুমার বর্মন, ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা গোলাম কিবরিয়া সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক বিপ্লব কুমার সিংহ রায়, গড়েয়াহাট খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাইদুর রহমান, ঠাকুরগাঁও সদর খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহাবুদ্দিন আহম্মদ এবং শিবগঞ্জ খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত র্কমকর্তা এস এম গোলাম মোস্তফার বিরুদ্ধে দন্ড বিধির ৪২০/৪৬৭/৪৬৬/৪৭১/৪০৯/১০৯ ধারা বলে এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় মামলা রুজু করে। তদন্ত শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে সরকারি চাল আত্মসাতের বিষয়টি প্রমানিত হওয়ার পরেও অনুকম্পা দেখিয়ে প্রতিবেদন উল্লেখ করা হয়েছে “যেহেতু ৫ জন আসামি সরকারি বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা ও ১ জন ইউপি চেয়ারম্যান বিধায় এত সল্প টাকা আত্মসাৎ মামলা রজুর পর আসামিগণকে আটক ও দীর্ঘদিন হাজতবাসের কারণে আসামি একপ্রকার  শাস্তিভোগ করেছেন”। 

হাজতবাস এবং আত্মসাৎকৃত ২ লাখ ৩৪ হাজার ৬০৮/১০ টাকা সরকারি কোষাগারে জমা প্রদান করায় আসামিদের এই মামলার দায় হতে অব্যাহতি প্রদানের সুপারিশ করা হয় প্রতিবেদনে। 

পরে এ বিষয়ে এলাকাবাসীর পক্ষে ওসমান আলী নাসিরুল ইসলাম, যষ্টি কুমার, সুদেব রায়( শিক্ষক), নিরঞ্জন রায়(অধক্ষ্য), মো: হাসান(শিক্ষক) এবং উদয় কুমার রায় সহ কয়েকজন ব্যক্তি ঠাকুরগাঁও জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারন সম্পাদক অ্যাড.এনতাজুল হক কে বিষয়টি জানান এবং আসামিরা যেন মামলা থেকে অব্যহতি না পায় সে বিষয়ে বিজ্ঞ আদালতের দৃষ্টিতে আনার অনুরোধ করেন। এর প্রেক্ষিতে অ্যাড.এনতাজুল হক বিজ্ঞ আদালতের দৃষ্টি আকর্ষন করেন এবং জানান সরকারি চাল আত্মসাতের অভিযোগ প্রমানিত হওয়ার পর দুদকের তদন্তকারী কর্মকর্তা দোষী ব্যক্তিদের মামলার দায় হতে প্রতিবেদনে সুপারিশ করেছেন বিজ্ঞ আদালতের কাছে কাগজ পত্র উপস্থাপন করেন।  

জেলা ও দায়রা জজ দুদকের উক্ত প্রতিবেদন দেখে ক্ষোভ ও বিস্ময় প্রকাশ করেন এবং দুদকের প্রতিবেদন ও সুপারিশ গ্রহণ না করে  একজন সিনিয়র কর্মকর্তাকে দিয়ে পুনরায় তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ প্রদান করেন। 

আরকে//