ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

শিশুদের আচরণ নিয়ে অভিভাবকদের জন্য আইএসডির ওয়েবিনার

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৬:৪৩ পিএম, ২৬ জানুয়ারি ২০২১ মঙ্গলবার

সম্প্রতি ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ঢাকা (আইএসডি) অভিভাবকদের জন্য এক ওয়েবিনারের আয়োজন করেছে। ওয়েবিনারে আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন দু’জন বক্তা ‘অ্যাপ্রোচেস টু লার্নিং’ (এটিএল) এবং শিশুদের সাথে যোগাযোগের উপায়, এই দু’টি ভিন্ন বিষয়ে আলোকপাত করেন।

ওয়েবিনারের প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইএসডি’র আইবিপিওয়াইপি কো-অর্ডিনেটর লিনেট উইকে কাইলো এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির প্রাইমারি কাউন্সিলর, ভিভিয়ান হুইজেনগা। প্রথমে লিনেট পিওয়াইপি (প্রাইমারি ইয়ার্স প্রোগ্রাম) ‘অ্যাপ্রোচেস টু লার্নিং' (এটিএল) সম্পর্কে আলোচনা করেন এবং এর গুরুত্ব ও আইবি-পিওয়াইপি শিক্ষা পদ্ধতির ধরণ অভিভাবকদের সামনে তুলে ধরেন। 

আলোচনার সময় তিনি শিক্ষার্থীদের যেসব ট্রান্সডিসিপ্লিনারি বিষয়ে (যোগাযোগ, চিন্তাচেতনা, গবেষণা, সামাজিক এবং স্ব-ব্যবস্থাপনা) দক্ষতা অর্জন প্রয়োজন, তা তুলে ধরেন।

এরপরে, ভিভিয়ান হুইজেনগা শিশুদের সাথে যোগাযোগ বিষয়ক ধারণা নিয়ে তার ভাবনা এবং মতামত ব্যক্ত করেন। বিশেষ করে, বর্তমানের প্রতিকূল সময়ে যোগাযোগের ধরণ কেমন হওয়া উচিত সে বিষয়ে তিনি তার বক্তব্যে আলোচনা করেন। শিশুরা যখন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় কিংবা তাদের অযৌক্তিক কোনো কিছু চায়, তখন বাবা-মায়েরা কী করতে পারেন সে সম্পর্কে তিনি আলোকপাত করেন। 

ভিভিয়ান পিতামাতাদের পরামর্শ দেন যে, তাদের উচিত শিশুদের বোঝার চেষ্টা করা এবং তাদের সকল জিজ্ঞাসার ক্ষেত্রে ইতিবাচকভাবে উত্তর দেয়া। এতে করে শিশুরা একটি স্বাস্থ্যকর পরিবেশে শিখতে ও বাড়তে পারবে। 

তিনি বলেন, ‘আপনি যদি শিশুর অনুভূতি বুঝতে না পারেন, তবে তারা ক্ষুব্ধ হয়। তারা যেমন আমাদের শ্রদ্ধা করে, তাদের অনুভূতির প্রতিও আমাদের শ্রদ্ধাশীল হওয়া উচিৎ। ছোট ছোট জিনিস যেমন ‘তোমাকে এ ব্যাপারে ভীষণ আনন্দিত মনে হচ্ছে কিংবা আমি বুঝতে পারছি তুমি সত্যিই গর্বিত’- তাদের এমন বলা কিংবা তাদের অনুভূতি বোঝা খুব ছোট মনে হলেও এগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’

ওয়েবিনারটি ‘প্রাইমারি প্যারেন্ট ইভিনিং’ -এর একটি অংশ হিসেবে অনুষ্ঠিত হয়। এ ধরণের আয়োজনের মাধ্যমে অভিভাবক এবং স্কুল কর্তৃপক্ষ উভয়ের একত্রিত হওয়ার এবং স্কুল কী করছে, কেন করছে এবং কীভাবে তারা অভিভাবকদের সাহায্য করতে পারে সে বিষয়ে কথা বলার সুযোগ তৈরি হয়। 

অংশগ্রহণমূলক এ ওয়েবিনারে যেখানে অভিভাবকরা তাদের চিন্তাভাবনা তুলে ধরার এবং আলোচনায় অংশ নেওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন। মূলত, শিশুদের শেখার প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করার জন্য অভিভাবকদের প্রয়োজনীয় বিষয়ে ধারণা প্রদান করার লক্ষ্যেই এ ওয়েবিনার অনুষ্ঠিত হয়।

এসি