পটুয়া কামরুল হাসানের ৩৩তম প্রয়াণ দিবস আজ (ভিডিও)
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১১:১৭ এএম, ২ ফেব্রুয়ারি ২০২১ মঙ্গলবার
পটুয়া কামরুল হাসান। চিত্রশিল্পীর পরিচয় ছাপিয়ে তিনি ছিলেন প্রগতিশীল বাংলাদেশ বিনির্মাণের সংগ্রামে অন্যতম পুরোধা ব্যক্তিত্ব। মুক্তিযুদ্ধকালে তাঁর আঁকা পোস্টার হয়ে উঠেছিলো সকল গণহত্যার প্রতিবাদের প্রতীক। এরপর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে তাঁর ভূমিকাও ছিল অগ্রগণ্য। তিনি একেঁছিলেন বিশ্ববেহায়ার অবয়ব। কামরুল হাসান জীবন ও কর্মে নিমগ্ন ছিলেন মানুষের সংগ্রামে।
কামরুল হাসান, কিংবদন্তিতুল্য এক নাম। যিনি ছিলেন প্রগতিশীল আন্দোলন-সংগ্রামে সামনের সারিতে। যার ভাবনায় প্রাধান্য পেয়েছে মানুষ, দেশপ্রেম, প্রকৃতি ও অসাম্প্রদায়িক চেতনা।
১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে কুখ্যাত ইয়াহিয়ার মুখের ছবি- ‘এই জানোয়ারদের হত্যা করতে হবে’ দেশপ্রেমিক এই শিল্পীর অন্যতম কর্ম যা মুক্তিযোদ্ধাদের আলোড়িত করেছে। তাঁর কর্ম তাঁর জীবনের মতোই গভীর।
স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে রাষ্ট্রের মনোগ্রাম একেঁছেন তিনি। শিবনারায়ণ দাশের প্রাথমিক আদল থেকে জাতীয় পতাকার বর্তমান রূপও দিয়েছেন পটুয়া কামরুল হাসান।
স্বৈরাচার এরশাদের বিরুদ্ধে পটুয়া কামরুল ছিলেন বিদ্রোহীর ভূমিকায়। ১৯৮৮ সালের ২ ফেব্রুয়ারি জাতীয় কবিতা পরিষদের উৎসবে সভাপতি হিসাবে যোগ দিয়ে আঁকেন ‘দেশ আজ বিশ্ববেহায়ার খপ্পরে’।
ইউনির্ভাসিটি অব ডেভেলপমেন্ট অল্টারনেটিভ চারুকলা বিভাগের চেয়ারম্যান শাহজাহান আহমেদ বিকাশ বলেন, বাংলার একজন আধুনিক, দেশপ্রেমিক এবং সমাজ সচেতন শিল্পীর নাম পটুয়া কামরুল হাসান। একজন পটুয়া কামরুল হাসান তৈরি হতে তার পেছনে বাংলার ব্রতচারী আন্দোলন খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
বাঙলার নারী, উৎসব-পার্বণ, সংস্কৃতি, প্রেম সবই তিনি তুলে ধরেছেন তাঁর সৃষ্টিকর্মে। অসাম্প্রদায়িক, মানবতাবাদী এই দেশপ্রেমিক চিত্রশিল্পী তাঁর কর্মের ধরনের জন্যে পটুয়া অভিধায় পরিচিত।
শাহজাহান আহমেদ বিকাশ আরও বলেন, আজ পটুয়া কামরুল হাসান অনেক বেশি প্রাসঙ্গিক, যিনি সমাজের যে কোন বিষয়ে তাঁর শিল্পকর্মে বিভিন্ন সময়ে প্রকাশ করেছেন এবং মৃত্যুর আগ পর্যন্ত যে শিল্পী ছবি এঁকে গেছেন।
এই মহৎ মানুষটির ৩৩তম প্রয়াণ দিবস আজ। বাঙালি অন্তরে চিরভাস্বর থাকবেন পটুয়া কামরুল হাসান।
ভিডিও-
এএইচ/