ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১

চলচ্চিত্র কর্মীদের ভালোবাসা নিয়ে বাড়ি ফিরছেন মোল্লা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৮:০৬ পিএম, ২ ফেব্রুয়ারি ২০২১ মঙ্গলবার | আপডেট: ০৭:৪২ পিএম, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১ বুধবার

গেলো প্রায় পাঁচ দশক ধরে এফডিসিতে ঝালমুড়ি বিক্রি করেন আব্দুল মান্নান। বিনা-বেতনে খাদেম হিসেবে কাজ করেন এফডিসির মসজিদে। সবার কাছে মোল্লা নামেই পরিচিত তিনি। তার ঝালমুড়ির ভক্ত ছিলেন রাজ্জাক শাবানা, ববিতা থেকে শুরু করে বর্তমানের সব তারকা।

শারীরিক অসুস্থা আর সিনেমার কাজ কম হওয়ায় মুড়ি বিক্রি প্রায় বন্ধ। এবার লাইট, ক্যামেরা, অ্যাকশনে কাটানো রঙিন দুনিয়া বিদায় জানাবেন আব্দুল মান্নান মোল্লা। ‘দ্বিতীয় বাড়ি’ ছেড়ে যাবেন প্রিয় আঙিনায়। অসহায় এই মানুষটিকে সম্মানের সাথে বিদায় জানাতে মোল্লা যাবে বাড়ি- এই স্লোগান তুলে গত শুক্র, শনি ও রবিবার এফডিসিতে তিন দিনের মুড়ি উৎসবের আয়োজন করেন একদল তরুণ সাংবাদিক। উদ্দেশ্য প্রিয় মোল্লাকে সম্মানের সাথে বিদায় জানাবেন তারা।

উৎসবটি আয়োজনের পেছনে কাজ করেছেন মাজহার বাবু, আহম্মেদ তেপান্তর, রাহাত সাইফুল, এ এইচ মুরাদ, আসিফ আলম, রঞ্জু সরকার ও রুহুল আমিন ভূঁইয়া। যারা প্রত্যেকেই সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে জড়িত। তিন দিনের এ উৎসবে ব্যাপক সাড়া দেন সংস্কৃতি কর্মীরা। শেষ বিদায় মুড়ি উৎসবে এসে আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন শিল্পীরা। প্রিয় মোল্লাকে নিয়ে কেউ কেউ করেছেন স্মৃতিচারণ। ফিরে যান অতীতে। এ উৎসবে মোট ১ লাখ ৮১ হাজার ৭০০ টাকা উঠেছে যা দিয়ে অচিরেই আব্দুল মান্নান মোল্লার নিজ গ্রামে একটি দোকান ঘর তৈরি করে দেওয়া হবে। সেখানেই বাকি জীবনটা কাটিয়ে দিবেন রঙিন দুনিয়ার এই মানুষটি।

এই উৎসবের আয়োজকরা বলেন, ‘তিন দিনব্যাপী মোল্লার মুড়ি উৎসব সফলভাবে শেষ হয়েছে। এই উৎসব থেকে সংগৃহীত অর্থ খুব শিগগির মান্নান মোল্লা ভাইকে দেওয়া হবে। যারা মানবিক এই আহ্বানে সাড়া দিয়ে এগিয়ে এসেছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। এছাড়া এই আয়োজনকে সফল করার জন্য বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম সহযোগিতা করেছে, তাদেরকেও ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আর এখন কেউ মোল্লা ভাইকে অর্থনৈতিকভাবে সহযোগিতা করতে চাইলে সরাসরি তার সঙ্গে যোগাযোগ করার অনুরোধ করছি।’

সমাপনী দিনে সাড়া দিয়েছিলেন অভিনেত্রী অঞ্জনা সুলতানা, প্রয়াত মান্নার স্ত্রী শেলী মান্না, অভিনেত্রী আন্না, হল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আওলাদ হোসেন উজ্জ্বল, চিত্রনায়িকা আঁচল আঁখি, আইরিন সুলতানা, রোমানা নীড়, চিত্রনায়ক আসিফ ইকবাল, শিপন মিত্র, জয় চৌধুরী, কায়েস আরজু, সাদমান সামী, অভি, প্রযোজক রাশেদ খান, জুলফিকার জাহেদী, নির্মাতা ছটকু আহমেদ, বুলবুল বিশ্বাস, রিয়াজুল রিজু, সাংবাদিক কামরুজ্জামান বাবু, কামরুজ্জামান মিলু, বাসস’র সিনিয়র সাংবাদিক মহিউদ্দিন কাদের, ফটোগ্রাফার রফিকুল ইসলাম রনি, বাঁধন, মাসুদ রানা ও সৌরভ।

দ্বিতীয় দিনে সাড়া দিয়ে এগিয়ে এসেছেন অভিনেত্রী অরুনা বিশ্বাস, নাসরিন, চিত্রনায়িকা নিপুন, বিপাশা কবির, অধরা খান, তানহা মৌমাছি, শাহ হুমায়রা সুবাহ, আসমা ঝিলিক, চিত্রনায়ক ইমন, বাপ্পী চৌধুরী, আদর আজাদ, প্রযোজক-নায়ক মুন্না, হৃদয় চৌধুরী, পরিচালক শামীমুল ইসলাম শামীম, রফিক সিকদার, শফিক হাসান, নাসির উদ্দিন মাসুদ, প্রযোজক রাজিব সারোয়ার, রিজভী, নজরুল রাজ, এস এইচ ভিশন, সহকারী পরিচালক সমিতি, প্রযোজক শেখ সানোয়ার ও রুবেল।

প্রথম দিনে সাড়া দিয়েছিলেন চিত্রনায়ক আলমগীর, জায়েদ খান, প্রযোজক আলিমুল্লাহ খোকন, ফরমান আলী, প্রযোজক জাহাঙ্গীর, চলচ্চিত্র নির্মাতা শাহ আলম কিরন, শাহীন সুমন, সাইমন তারিক, আরিফুর জামান আরিফ, জসিম উদ্দিন জাকির, আবু রায়হান জুয়েল, চিত্রনায়িকা মৌমিতা মৌ, তানিন সুবাহ, অরিন, অভিনেতা হারুন রশিদ, আব্দুল হক, সাংবাদিক প্রতীক আকবর, এসকে মিডিয়া ও পুলিশ কর্মকর্তা আল মামুন। এছাড়া বিভিন্ন পেশার মানুষ এই তিন দিনে শেষ বারের মতো প্রিয় মোল্লার মুড়ি খেতে আসেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন সাংবাদিক নেতা সৈকত সালাউদ্দিন, চিত্রনায়ক সনি রহমান, অভিনেতা আজিজুল হাকিম সীমান্ত, নাট্যনির্মাতা সোহেল তালুকদার, প্রবীর দত্ত সহ আরও অনেকে।

এসি