৫০ বছর আগের দুর্নীতির মামলাগুলো শুনানির উদ্যোগ (ভিডিও)
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১২:০৭ পিএম, ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০৪:২৮ পিএম, ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১ বৃহস্পতিবার
৫০ বছর আগের দুর্নীতির মামলাগুলো শুনানির উদ্যোগ নিয়েছে উচ্চ আদালত। ১৯৭১ থেকে ১৯৯৩ পর্যন্ত প্রায় ২৫টি মামলা কার্যতালিকায় নিষ্পত্তির অপেক্ষায়। হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চকে দ্রুত মামলাগুলো নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। দুদকের আইনজীবী জানালেন, আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে শুনানি শুরু হতে পারে।
২০০৪ সালে দুর্নীতি দমন কমিশনের যাত্রা শুরু। তারও আগে দুর্নীতি দমন ব্যুরোর অধীনে বিচারিক আদালত ও সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ ও আপীল বিভাগে মামলার যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনা করতেন পরিচালক। কমিশন হওয়ার পর থেকেই বিলুপ্ত ব্যুরোর অনিষ্পত্তিকৃত মামলাগুলো নিয়ে কাজ শুরু হয়।
পুরোনো মামলা নিষ্পত্তির ধারাবাহিতায় ১৯৭১ সাল থেকে প্রায় ৫০ বছর আগের দুর্নীতির মামলাগুলো শুনানির উদ্যোগ নিয়েছেন উচ্চআদালত। এর মধ্যে ৭১ থেকে ১৯৯৩ পর্যন্ত প্রায় ২৫টি মামলা কার্যতালিকায় নিষ্পত্তির অপেক্ষায়।
দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, যেহেতু ব্যুরো আমলের সমস্ত দায়দায়িত্ব আইন অনুযায়ী আমাদের, এখন আমাদের কর্তব্য এগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি করার। এ জন্য পদক্ষেপ নিচ্ছি, আশা করি খুব তাড়াতাড়ি এগুলো নিষ্পন্ন হবে।
দুদকের আইনজীবী জানান, পুরোনো মামলাগুলোর মধ্যে সরকারি কর্মচারীদের অসদাচরণ, অর্থ আত্মসাৎসহ বেশ কিছু মামলা রয়েছে। মামলাগুলো অনেক পুরোনো হওয়ায় নথিপত্রের জন্য দুদকে আবেদন করা হয়েছে।
দুদকের আইনজীবী আরও জানান, সরকারি কর্মচারীদের অসদাচরণ হতে পারে, জ্ঞাত আয়ের বর্হিভূত সম্পদ হতে পারে, মিউচুয়াল ট্রাস্ট অর্থ আত্মসাত হতে পারে। বিভিন্ন ধরনের মামলা আছে।
হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চকে মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন।
আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, কাগজ যদি কালকের মধ্যে পেয়ে যাই, আশা করি রোববার থেকে শুনানি শুরু করতে পারবো।
সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে দুদকের ২ হাজার ৫৩টি মামলা বিচারধীন। আর আপিল বিভাগে রয়েছে ৪২২টি মামলা। দুদকের বিচারাধীন মামলার সংখ্যা এখন ২ হাজার ৪৭৫টি।
ভিডিও-
এএইচ/