রমজান ঘিরে ব্যস্ততা বেড়েছে নাটোরের মুড়ির গ্রামে
প্রকাশিত : ০৮:৪০ এএম, ২৯ মে ২০১৭ সোমবার | আপডেট: ০৯:৪০ এএম, ২৯ মে ২০১৭ সোমবার
রমজান ঘিরে ব্যস্ততা বেড়েছে মুড়ির গ্রাম হিসেবে পরিচিত নাটোরের গোয়ালদিঘী কৃষ্ণপুর গ্রামে। তবে, এবার উৎপাদন খরচ বেশি হওয়ায় লোকসানের আশংকা করছেন মুড়ি প্রস্তুতকারিরা। এখানকার মুড়ি রাসায়নিকমুক্ত হওয়ায়, কদরও বেশি। নাটোর-বগুড়া মহাসড়কের এই এলাকাতে গড়ে উঠেছে মুড়ির আড়ৎ। প্রতিদিন প্রায় ২শ’ মণ মুড়ি রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হচ্ছে এখান থেকে।
কেউবা উঠানে ধান শুকাচ্ছেন, কেউ মাঝে মাঝে ধান নেড়ে দিচ্ছেন, আবার কেউ ব্যস্ত চুলোয় চাল গরম করতে। এভাবেই চলছে মুড়ি তৈরি।
ইফতারের অপরিহার্য অনুষঙ্গ ‘মুড়ি’। রমজানের সময় বাড়তি চাহিদার কারণে, ব্যস্ততা বেড়েছে, নাটোরের গোয়ালদিঘী কৃষ্ণপুরসহ পার্শ্ববর্তী কয়েকটি গ্রামে। এখানকার মুড়ি রাসায়নিকমুক্ত ও নির্ভেজাল হওয়ায় কদর থাকে সারা বছরই। এ’কারণে এলাকায় গড়ে উঠেছে মুড়ির আড়ৎ। এখান থেকে প্রতিদিন ২শ’ মন মুড়ি সরবরাহ করা হয় ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে।
রমজান ঘিরে, এই চাহিদা আরো বেড়েছে।
কারিগররা বলছেন, এবার আগাম বন্যায় ধানের ক্ষতি হওয়ায় চালের দাম বৃদ্ধির প্রভাব পড়ছে মুড়ি উৎপাদনেও।
স্বল্প সুদে ঋণ পেলে, মৃুড়ি উৎপাদন ব্যবসার পরিধি আরো বাড়বে বলে মনে করে এলাকাবাসী।