ঢাকা, শনিবার   ০২ নভেম্বর ২০২৪,   কার্তিক ১৭ ১৪৩১

উপাচার্যদের সমন্বয়ে গঠিত কোর কমিটির ২য় সভা অনুষ্ঠিত

জবি প্রতিনিধি 

প্রকাশিত : ০৬:৩৭ পিএম, ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১ বৃহস্পতিবার

২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক ১ম বর্ষে শিক্ষার্থীদের ভর্তির জন্য সাধারণ,  বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি  গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের উপাচার্যবৃন্দের সমন্বয়ের গঠিত কোর কমিটির ২য় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মহোদয়ের সভা কক্ষে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন কমিটির যুগ্ম-আহ্বায়ক ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান। সভায় নিম্নলিখিত সিদ্ধান্তসমূহ গৃহীত হয়:

১। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে GST গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

২। GST গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে প্রাথমিক আবেদনে শিক্ষার্থীদের কোন ফি প্রদান করতে হবে না। যেসব শিক্ষার্থীদের ন্যূনতম যোগ্যতা থাকবে তাঁরা সকলেই প্রাথমিক আবেদন করতে পারবেন। GST গুচ্ছভুক্ত এবং অন্যান্য গুচ্ছভুক্ত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে একযোগে যতজন শিক্ষার্থীর পরীক্ষা নেয়ার সুযোগ রয়েছে মেধার ভিত্তিতে ততজন শিক্ষার্থীকে চূড়ান্ত আবেদন করার সুযোগ দেয়া হবে। প্রাথমিকভাবে বাছাইকৃত শিক্ষার্থীরা ৫০০/- (পাঁচশত) টাকা জমা দিয়ে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য আবেদন করতে পারবেন।

৩। যে সকল শিক্ষার্থী ২০১৯ বা ২০২০ সালে এইচএসসি/সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ তারাই আবেদন করতে পারবে।  ভর্তিচ্ছু আবেদনকারীর বিজ্ঞান শাখার জন্য ন্যূনতম জিপিএ ৭.০, বাণিজ্য শাখার জন্য ন্যূনতম জিপিএ ৬.৫ এবং মানবিক শাখার জন্য ন্যূনতম জিপিএ ৬.০ থাকতে হবে; তবে প্রত্যেক শাখাতে (বিজ্ঞান/বাণিজ্য/মানবিক) এস এস সি এবং এইচ এস সি পরীক্ষায় নূন্যতম জিপিএ ৩.০ থাকতে হবে।

৪। GST পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিটি প্রশ্নের মান হবে ১। প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য ০.২৫ নম্বর কাটা যাবে।

৫। শুধুমাত্র এবছরের জন্যই GST গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৯ ও ২০২০ সালে এইচ এস সি পাসকৃত শিক্ষার্থীরা ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন। পরবর্তী বছর হতে GST গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে পূর্ববর্তী বছরের পাসকৃত শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন না।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (সিলেট)-এর মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যায় (কুষ্টিয়া)-এর মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (টাঙ্গাইল) এর মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আলাউদ্দিন, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোয়াখালী)-এর মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ দিদার-উল-আলম, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুমিল্লা)-এর মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমরান কবির চৌধুরী, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় (ময়মনসিংহ)-এর মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এইচ. এম মোস্তাফিজুর রহমান, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যশোর)-এর মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (রংপুর)-এর মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিম উল্লাহ, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পাবনা)-এর মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. রোস্তম আলী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (গোপালগঞ্জ)-এর মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. কিউ. এম. মাহবুব, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (বরিশাল)-এর মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ছাদেকুল আরেফিন, রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এর মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. প্রদানেন্দু বিকাশ  চাকমা, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় (সিরাজগঞ্জ)-এর মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ ঘোষ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি (গাজীপুর)-এর মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুনাজ আহমেদ নূর, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (জামালপুর)-এর মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৈয়দ সামসুদ্দিন আহমেদ, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এর মাননীয় উপাচার্য (রুটিন দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. স্বদেশ চন্দ্র সামন্ত, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় (খুলনা)-এর মাননীয় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোসাম্মাৎ হোসেন আরা, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানীয় ট্রেজারার অধ্যাপক ড. বিধান চন্দ্র হালদার এবং শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয় (নেত্রকোনা)-এর সম্মানীয় ট্রেজারার অধ্যাপক ড. সুব্রত কুমার আদিত্য ।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন GST গুচ্ছভুক্ত সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা (২০২০-২১) এর সচিব ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মোঃ ওহিদুজ্জামান এবং অর্থ উপ-কমিটির সদস্য-সচিব এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ ও হিসাব দপ্তরের পরিচালক ড. কাজী মোঃ নাসির উদ্দীন উপস্থিত ছিলেন।

আরকে//