‘মিয়ানমার সেনাবাহিনীর উচিত দখলকৃত ক্ষমতা ছেড়ে দেওয়া’
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৯:৫০ এএম, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১ শুক্রবার
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন মিয়ানমারে ক্ষমতা ছাড়ার জন্য দেশটির সেনাবাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। একই সঙ্গে সেনা অভ্যুত্থানে আটক সকল বন্দীদের মুক্তির দাবিও করেছেন তিনি। ক্ষমতা গ্রহণের পর বিদেশ নীতি নিয়ে এই প্রথম মুখ খুললেন বাইডেন।
এর আগে মিয়ানমারের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ জানায় জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ।
বাইডেন জানান, সোমবার মিয়ানমারের জেনারেলরা দেশটির ক্ষমতা নেওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে।
সেনা অভ্যুত্থানে আটক করা হয় নির্বাচনে জেতা এনএলডি নেত্রী অং সান সু চি, প্রেসিডেন্ট উইন মিন্টসহ কয়েকশ আইনপ্রণেতা ও নেতাকে। নির্বাচনে কারচুপি হয়েছে অভিযোগ করে এ অভ্যুত্থান ঘটান সেনাপ্রধান সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লাইয়াং।
বাইডেন বলেন, ‘একটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় জনগণের ইচ্ছাকে প্রত্যাখ্যান করা এবং একটি নির্ভরযোগ্য নির্বাচনের ফলাফলকে মুছে ফেলার চেষ্টা করা কোনোভাবেই উচিত নয়।’
মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ‘মিয়ানমার সেনাবাহিনীর উচিত দখলকৃত ক্ষমতা ছেড়ে দেওয়া এবং সকল বন্দী অ্যাকটিভিস্ট ও কর্মকর্তাদের মুক্তি দেওয়া।’
মিয়ানমারের সেনাশাসকের প্রতি বাইডেনের আহ্বান, টেলি-যোগাযোগের ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নিন এবং সহিংসতা থেকে বিরত থাকুন।
এদিকে বৃহস্পতিবার দেশটির ফেসবুকসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধ করে দিয়েছে সেনাশাসকেরা। জরুরি অবস্থা জারি থাকায় রাস্তায় নামতে না পারলেও সামাজিক মাধ্যমে অভ্যুত্থানের বিরোধিতা করে আসছিল দেশটির মানুষ। ৫৩ মিলিয়ন জনসংখ্যার মিয়ানমারে অর্ধেক মানুষ ফেসবুক ব্যবহার করে।
অভ্যুত্থানের দুইদিন পর সু চিকে ১৫ দিনের রিমান্ড দিয়েছে আদালত। অভিযানের সময় তার ঘরে অবৈধ ওয়াকিটকি রেডিও পাওয়া গেছে বলে পুলিশের অভিযোগ।
এর আগে সরকারের মন্ত্রীদের বরখাস্ত করে নতুন সরকার ঘোষণা করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। অভ্যুত্থানের অল্প সময়ের পর একজন সাবেক জেনারেলকে ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।
সু চি সরকারের ২৪ জন মন্ত্রী, উপমন্ত্রী এবং প্রতিমন্ত্রীকে বরখাস্ত করা হয়েছে। সেই সঙ্গে নতুন ১১ জন মন্ত্রী নিয়োগ করা হয়েছে।
সূত্র : আলজাজিরা
এসএ/