চট্টগ্রামে করোনায় মৃত্যু নেই
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০১:০৫ পিএম, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১ সোমবার
চট্টগ্রামে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন ৮০ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। সংক্রমণের হার ৫ দশমিক ২৬ শতাংশ। এ সময়ে করোনায় কোনো রোগীর মৃত্যু হয়নি।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সর্বশেষ রিপোর্টে বলা হয়, গতকাল রোববার সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে নগরীর আটটি ও কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ১ হাজার ৫২০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়।
নতুন ৮০ জন বাহকের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৭২ জন এবং চার উপজেলার ৮ জন। ফলে এ পর্যন্ত জেলায় মোট আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা ৩৩ হাজার ৫২৪ জনে দাঁড়ালো। সংক্রমিতদের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ২৬ হাজার ১৯৬ জন ও গ্রামের ৭ হাজার ৩২৮ জন। উপজেলা পর্যায়ে গতকাল শনাক্ত ৮ জনের মধ্যে রাউজান ও হাটহাজারীতে ৩ জন করে এবং ফটিকছড়ি ও সীতাকুণ্ডে ১ জন করে রয়েছেন।
গতকাল করোনায় কারো মৃত্যু হয়নি। ফলে জেলায় মৃতের সংখ্যা ৩৬৯ জনই রয়েছে। এর মধ্যে ২৬৮ জন শহরের ও ১০১ জন গ্রামের। সুস্থতার ছাড়পত্র দেয়া হয় ৫৭ জনকে। ফলে মোট আরোগ্য লাভকারীর সংখ্যা ৩১ হাজার ১০৭ জনে উন্নীত হলো। এর মধ্যে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নেন ৪ হাজার ২৭৭ জন ও বাসায় থেকে চিকিৎসা করিয়ে সুস্থ হন ২৬ হাজার ৮৩০ জন। হোম আইসোলেশন বা কোয়ারেন্টাইনে যুক্ত হন ১০ জন ও ছাড়পত্র নেন ৩০ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে আছেন ১ হাজার ২ জন।
উল্লেখ্য, চলতি মাসের সাত দিনে চট্টগ্রামে গতকালসহ দু’দিন ৮০ জন করে এবং একদিন ১০৮ রোগী শনাক্ত হয়। ২ ফেব্রুয়ারি ৮০ জনের দেহে ভাইরাস শনাক্ত হয়। সংক্রমণ হার ছিল ৫ দশমিক ৮৯ শতাংশ। পহেলা ফেব্রুয়ারি একটানা ১৯ দিন পর করোনা ভাইরাসে সংক্রমিতের সংখ্যা একশ অতিক্রম করে। এদিন ১ হাজার ৫৮৭ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১০৮ জন পজিটিভ চিহ্নিত হন। সংক্রমণ হার ৬ দশমিক ৮০ শতাংশ।
অন্যদিকে, চট্টগ্রামে করোনার পূর্ণাঙ্গ পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরুর পর সংখ্যা ও হারে ৬ ফেব্রুয়ারি ছিল সবচেয়ে কম শনাক্তের রেকর্ড। এদিন ১ হাজার ২২৪ জনের নমুনা পরীক্ষায় ২১ জনের দেহে ভাইরাসের উপস্থিতি মেলে। সংক্রমণ হার ১ দশমিক ৭১ শতাংশ। এছাড়া, চট্টগ্রামে করোনায় গতকালসহ একটানা ১৪ দিন কোনো রোগীর মৃত্যু হয়নি। সর্বশেষ একজনের মৃত্যু হয় ২৪ জানুয়ারি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি ৬৮৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে ১৫ জনের রেজাল্ট পজিটিভ আসে। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) ল্যাবে ৩৬৪ জনের নমুনার মধ্যে ১৮ জন জীবাণুবাহক চিহ্নিত হন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ল্যাবে ৭৩টি নমুনার ৮টিতে করোনার ভাইরাস পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু) ল্যাবে ৬৫ জনের নমুনায় ৮ জন করোনায় আক্রান্ত বলে শনাক্ত হন। বিশেষায়িত কোভিড চিকিৎসা কেন্দ্র জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএলে ৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলে ৩ জনের রেজাল্ট পজিটিভ আসে।
বেসরকারি তিন ল্যাবরেটরির মধ্যে ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ১২২, শেভরনে ১০৪ এবং মা ও শিশু হাসপাতালে ১২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে যথাক্রমে ১৭, ৮ ও ৩টি নমুনায় ভাইরাস থাকার প্রমাণ মেলে।
এদিন চট্টগ্রামের ৯০ জনের নমুনা কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে পাঠানো হয়। পরীক্ষায় সবগুলোরই নেগেটিভ রেজাল্ট পাওয়া যায়।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে বিআইটিআইডি’তে ২ দশমিক ১৯ শতাংশ, চমেকে ৪ দশমিক ৯৪, চবি’তে ১০ দশমিক ৯৬, সিভাসু’তে ১২ দশমিক ৩১, আরটিআরএলে ৬০ শতাংশ, ইম্পেরিয়ালে ১৩ দশমিক ৯৩, শেভরনে ৭ দশমিক ৬৯ এবং আগ্রাবাদ মা ও শিশুতে ২৫ শতাংশ সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়।
সূত্র : বাসস
এসএ/