জাতীয় অধ্যাপক কবীর চৌধুরীর জন্মদিন আজ
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৮:৩৫ এএম, ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২১ মঙ্গলবার
প্রথিতযশা শিক্ষাবিদ, প্রাবন্ধিক ও অনুবাদক জাতীয় অধ্যাপক কবীর চৌধুরীর ৯৯তম জন্মদিন আজ। তিনি ১৯২৩ সালের আজকের এই দিনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি বাংলা একাডেমির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
তার পুরো নাম আবুল কালাম মোহাম্মদ কবীর। ডাকনাম মাণিক। তিনি অধ্যাপক কবীর চৌধুরী নামে সমধিক পরিচিত। তার পৈতৃক নিবাস নোয়াখালীর চাটখিলের গোপাইরবাগ গ্রামের মুন্সীবাড়ি। বাবা খান বাহাদুর আবদুল হালিম চৌধুরী ও মা আফিয়া বেগম। তার ছোট ভাই শহীদ বুদ্ধিজীবী অধ্যাপক মুনীর চৌধুরী; বোন ফেরদৌসী মজুমদার বাংলাদেশের খ্যাতিমান ব্যক্তিত্ব।
কর্মজীবনের বিভিন্ন সময়ে একাধিক পেশায় নিয়োজিত থাকলেও শিক্ষা ও সংস্কৃতির প্রতি কবীর চৌধুরীর অনুরাগ সহজাত। বাংলা ও ইংরেজিতে মৌলিক সমালোচনামূলক গ্রন্থসহ তার প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা শতাধিক। ১৯৯৮ সালে তিনি দেশের জাতীয় অধ্যাপক হন। নব্বইয়ের দশকে শহীদ জননী জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে তিনি সমমনাদের নিয়ে গঠন করেন একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি।
তার সাহিত্যকর্মের মধ্যে উল্লেযোগ্য- ছয় সঙ্গী, প্রাচীন ইংরেজি কাব্যসাহিত্য, আধুনিক মার্কিন সাহিত্য, শেকসপিয়র থেকে ডিলান টমাস, সাহিত্য কোষ, ইউরোপের দশ নাট্যকার, সাহিত্য সমালোচনা ও নন্দনতত্ত্ব পরিভাষা, শেকসপিয়র ও তার মানুষেরা, অ্যাবসার্ড নাটক, পুশকিন ও অন্যান্য, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব, বাঙালি জাতীয়তাবাদ, মুক্তবুদ্ধির চর্চা, স্বাধীনতাহীনতায় কে বাঁচিতে চায়, ছোটদের ইংরেজি সাহিত্যের ইতিহাস, ছবি কথা সুর ইত্যাদি।
তিনি ২০১১ সালের ১৩ ডিসেম্বর ৮৯ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন।
শিক্ষা ও সংস্কৃতির প্রতি অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি ১৯৯১ সালে একুশে পদক, ১৯৯৭ সালে স্বাধীনতা পদক লাভ করেন।
জন্মদিন উপলক্ষে আজ নানা কর্মসূচি নিয়েছে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি। এর মধ্যে রয়েছে- তার কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ, বিকেল ৪টায় অনলাইনে কবীর চৌধুরী স্মারক বক্তৃতা এবং ‘নেতাজি ও বঙ্গবন্ধুর ধর্মনিরপেক্ষ মানবতার দর্শন’ শীর্ষক আলোচনা সভা।
এসএ/