ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৬ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১

হার না মানা সাইমুমকে বাচাঁতে এগিয়ে আসুন

চবি সংবাদদাতা

প্রকাশিত : ১২:২৩ পিএম, ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২১ মঙ্গলবার

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন প্রিয়মুখ সাইমুম ইফতেখার। ২০১৫ সাল থেকে তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত। ২০১৬ সালে অপারেশন করে তার পায়ে কৃত্রিম হাঁটু বসানো হয়। ক্রাচ হাতে গত পাঁচ বছর ধরে তিনি যুদ্ধ করে এসেছেন। ভেলোরের হাসপাতালে হাসতে হাসতে কেমোথেরাপি দিতেন। এমনই হার না মানা সাইমুম।

প্রতি বছর দুবার করে ভারতে গিয়ে ফলোআপ করে এসেছেন। এই লড়াইয়ে পিছিয়ে যাননি পড়াশোনায়ও। কেমো দিয়ে এসে কয়েকদিনের মাথায় পরীক্ষার টেবিলেও বসেছেন। ক্যান্সারের কারণে নিজের ব্যাচ থেকে ছিটকে পড়লেও এমন অপ্রতিরোধ্য মনোবলের সাইমুম অনার্স ফাইনাল ইয়ারে দেখান অভাবনীয় সাফল্য,  যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে প্রথম শ্রেণিতে দ্বিতীয়। একই সময়ে উর্দু-হিন্দি থেকে দারুণ দারুণ অনুবাদ, গল্প-কবিতা লিখে গেছেন এ শিক্ষার্থী। একজন যোদ্ধা, একজন ফাইটার হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠেছিলেন সাইমুম।

ক্যান্সারকে হার মানিয়ে ক্রাচ নিয়েই চাকরি জীবনে প্রবেশের অপেক্ষায় ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এ শিক্ষার্থী। কিন্তু করোনা মহামারী তাকে আবার নতুন লড়াইয়ে ফেলে দিয়েছে। নয়তো, যে জীবন ফড়িংয়ের দোয়েলের, মানুষের সাথে তার হয় নাকো দেখা-জীবনানন্দের এ লাইন সত্যি হতে যাবে কেন। 

কী দুর্ভাগ্য, করোনার কারণে তার রেগুলার চেকআপে ব্যাঘাত ঘটে। যে দুঃসহ পরিস্থিতি গত এক বছর পার হয়েছে, সেখানে আটকে পড়ে সাইমুম, সেইসঙ্গে তার স্বপ্নও। নিজেও করোনায় আক্রান্ত হন। কোন ফাঁকে যে শরীরের আরেক অংশ ফুসফুসে ক্যান্সারের টিউমার ছড়িয়ে পড়েছে নিজেও জানেন না। যখন জানতে পারলেন, তখন অনেক দেরি হয়ে গেছে। এর মধ্যে ভারতে ট্রিটমেন্টের জন্য যেতেও তার দেরি হয়ে যায় সেখানে লকডাউনের কারণে।

সাইমুমের পরিবার থেকে জানানো হয়, সাইমুম এখন চেন্নাইয়ের এপোলো হাসপাতালের ক্যান্সার সেন্টারে জীবন-মরণ সন্ধিক্ষণে। পরপর দুইটা বড় অপারেশন করা লাগবে। একটা পায়ে, আরেকটা ফুসফুসে। হয়তো তাকে একটা ফুসফুস নিয়েই বেঁচে থাকতে হবে আজীবন, হয়তো এক পায়ের ওপর ভর করেই তাকে হাঁটতে হবে। সেটাও আপনাদের উদাত্ত সহায়তা পেলে। কারণ, এ দুই অপারেশনসহ বাকি ট্রিটমেন্টের জন্য সব মিলিয়ে দরকার অন্তত ২৫ থেকে ৩০ লাখ টাকার মতো।

বন্ধুরা জানান, শুরুতেও অনেকের সহায়তায় তিনি লড়াই করে এতদূর এসেছিলেন। ফলে এবার কোনোভাবেই রাজি হচ্ছিল না এই ফান্ড কালেকশানের। কিন্তু পরিস্থিতি এখন এমন, এছাড়া আর উপায় নেই। ইতিমধ্যে গত কয়েক বছরে তার চিকিৎসা বাবদ ২০ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। এ মুহূর্তে আবার ক্যান্সার অপারেশন, আবারও বড় অংকের টাকা।

আপনারা এগিয়ে না আসলে আমরা হয়তো সাইমুমের সেই অমলিন হাসিটা বেশিদিন আর দেখব না, কাটাপাহাড় ধরে ক্রাচ নিয়েও হাঁটতে দেখব না সাইমুমকে, নাজিম হিকমতের কবিতা আওড়াতেও দেখব না তাকে, শাটলে দেখব না বন্ধুদের সঙ্গে গানে সুর মেলাতে, ক্র‍্যাচ হাতেই বৃষ্টিতে ভিজতে দেখব না, সমাজ বিজ্ঞানের ঝুপড়িতে আড্ডা থেকেও চিরতরে হারিয়ে যাবে সাইমুম। 

সবাই এগিয়ে আসুন। এমন মেধাবী, সৃজনশীল, প্রাণবন্ত উজ্জ্বল তারুণ্যকে আমাদের মাঝ থেকে হারাতে না দিই। এ মুহূর্তে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় সব কিছুই বন্ধ, ফলে আগের মতো ফান্ড কালেকশনের সুযোগও নেই। তাই যে যেভাবে পারেন হাত বাড়িয়ে দিন, অন্যদেরও আহ্বান করুন। যেভাবে সহায়তা পাঠাবেন-

বিকাশ :
মিজান- (০১৮১৪৪৩৯৩০৫) 
আরিফ- (০১৭৩০৩৫৫১৯৭)

ব্যাংক একাউন্ট
MD. MIZANUR RAHAMAN
A/C No. 18127637001 Standard Chartered Bank, Agrabad Branch
এআই/ এসএ/