প্রকাশক দীপন হত্যা মামলার রায় আজ
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৮:১৯ এএম, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২১ বুধবার
প্রকাশক ফয়সল আরেফিন দীপন হত্যা মামলার রায় ঘোষণা হবে আজ। গত ২৪ জানুয়ারি সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মুজিবুর রহমান রায়ের জন্য এ দিন ধার্য করেন।
ওই দিন রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি গোলাম সারোয়ার জাকির গণমাধ্যমকে বলেন, ‘জাগৃতি প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী ফয়সাল আরেফিন দীপন হত্যা মামলায় আট আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে রাষ্ট্রপক্ষ সক্ষম হয়েছে। রায়ে আসামির সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড প্রত্যাশা করছি আমরা।’
অপরদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী নজরুল ইসলাম বলেন, ‘মামলায় ২৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য নেয়া হয়েছে। কোনো সাক্ষী আসামিরা মামলার সঙ্গে জড়িত- এমন কথা বলেনি। রায়ে আসামিরা খালাস পাবেন এই প্রত্যাশা করছি।’
এর আগে ২০১৯ সালের ১৩ অক্টোর সেনাবাহিনী থেকে চাকরিচ্যুত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হকসহ আট জনের বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয় ১৮ নভেম্বর।
এ মামলার অভিযুক্ত আসামিরা হলেন- মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক জিয়া, আকরাম হোসেন ওরফে হাসিব ওরফে আবির ওরফে আদনান ওরফে আবদুল্লাহ, মইনুল হাসান শামীম ওরফে সামির ওরফে ইমরান, আবদুর সবুর সামাদ ওরফে সুজন ওরফে রাজু, খাইরুল ইসলাম ওরফে জামিল ওরফে জিসান, আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাব, মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন ওরফে শাহরিয়ার ও শেখ আবদুল্লাহ ওরফে জুবায়ের ওরফে জায়েদ ওরফে জাবেদ ওরফে আবু ওমায়ের।
পুলিশ জানায়, এসব আসামিরা সবাই নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের সদস্য।
আসামিদের মধ্যে ছয়জন কাঠগড়ায় দাঁড়ালে বিচারক তাদের কাছে জানতে চান তারা দোষী না নির্দোষ। উত্তরে তারা নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন। পরে বিচারক ওই ছয় আসামির অব্যাহতির আবেদন খারিজ করে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। বাকি আরও দুই আসামি জিয়া ও আকরাম পলাতক রয়েছে।
প্রসঙ্গত ২০১৫ সালের ৩১ অক্টোবর শাহবাগের আজিজ সুপার মার্কেটে নিজের প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান জাগৃতির কার্যালয়ে দীপনকে গলা কেটে হত্যা করা হয়।
পরে দীপনের স্ত্রী রাজিয়া রহমান শাহবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। তিন বছর পর ২০১৮ সালের ১৫ নভেম্বর ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে অভিযোগপত্র দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের সহকারী কমিশনার ফজলুর রহমান। অভিযোগপত্রে রাষ্ট্রপক্ষে মোট ২৬ জনকে সাক্ষী করা হয়।
এআই/ এসএ/