প্রকাশক দীপন হত্যা মামলায় ৮ জনের মৃত্যুদণ্ড
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০১:০৮ পিএম, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২১ বুধবার
প্রকাশক ফয়সাল আরেফিন দীপনহত্যা মামলায় চাকরিচ্যুত মেজর জিয়াসহ ৮ জনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আসামিদের মধ্যে ২ জন পালাতক রয়েছে।
বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১২টার দিকে ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমান আলোচিত এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন— আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সামরিক শাখার প্রধান ও বরখাস্ত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক, মইনুল হাসান শামীম ওরফে সামির ওরফে ইমরান, আবদুর সবুর সামাদ ওরফে সুজন ওরফে রাজু ওরফে স্বাদ, খাইরুল ইসলাম ওরফে জামিল ওরফে জিসান, আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাব, মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন ওরফে শাহরিয়ার, শেখ আবদুল্লাহ ওরফে জুবায়ের ওরফে জায়েদ ওরফে জাবেদ ওরফে আবু ওমায়ের ও আকরাম হোসেন ওরফে হাসিব ওরফে আবির ওরফে আদনান ওরফে আবদুল্লাহ। এরমধ্যে মধ্যে জিয়াউল হক ও আকরাম হোসেন পলাতক।
এর আগে রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে গত ২৪ জানুয়ারি আজ রায় ঘোষণার তারিখ ঠিক করে দিয়েছিলেন।
আদালত সূত্র জানায়, রাজধানীর আজিজ সুপার মার্কেটের ৩য় তলায় ‘জাগৃতি’ প্রকাশনী অফিসে ঢুকে অজ্ঞাত সন্ত্রাসীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে ফয়সাল আরেফিন দীপনের ঘাড়ের পেছনে আঘাত করে হত্যা করে।
ঘটনাটি ঘটে ২০১৫ সালের ৩১ অক্টোবর ৪টার মধ্যে। হত্যাকাণ্ড শেষে অফিসের অটোলক তালা লক করে পালিয়ে যায় জঙ্গিরা।
সেদিন বিকালে দীপনের স্ত্রী শাহবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। ২০১৮ সালের ১৫ নভেম্বর সন্ত্রাসবিরোধী আইনে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি দক্ষিণের সহকারী পুলিশ কমিশনার ফজলুর রহমান। চার্জশিটে আটজনকে অভিযুক্ত ও ১১ জনকে অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়।
এর পর ২০১৯ সালের ১৩ অক্টোবর ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুজিবুর রহমান নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের (এবিটি) সদস্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চাকরিচ্যুত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হকসহ আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।
মামলায় আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের (এবিটি) আইটি এক্সপার্ট খায়রুল ইসলাম, সদস্য মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন, মাইনুল হাসান শামীম ওরফে সিফাত ওরফে সামির ওরফে ইমরান ও মো. আব্দুস সবুর ওরফে আবদুস সামাদ ওরফে সুজন ওরফে সাজু ওরফে সাদ আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। বর্তমানে তারা কারাগারে রয়েছেন।
এসএ/