চবিতে একাডেমিক কার্যক্রম চালুর দাবি শিক্ষার্থীদের
চবি সংবাদদাতা
প্রকাশিত : ০৫:২৩ পিএম, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২১ বুধবার
সাধারণ ছুটি না বাড়িয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের হল খুলে দিয়ে একাডেমিক কার্যক্রম চালুর দাবিতে মানববন্ধন করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সাধারণ শিক্ষার্থীরা। আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় ক্যাম্পাসের বুদ্ধিজীবী চত্বরে এই মানববন্ধন করেন তারা।
ইসলামের ইতিহাস বিভাগের ২০১৬-১৭ সেশনের শিক্ষার্থী মো. আরজু আহমেদের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ‘শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছাড়া দেশের সবকিছু সচল আছে, তাহলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আর কতদিন বন্ধ থাকবে? এভাবে বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা বিরাট সেশনজটে পড়ে যাচ্ছে। এখন বাংলাদেশে ভ্যাকসিন চলে আসছে, করোনাও কমে আসছে। তাই আমরা সরকারের কাছে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেয়ার আবেদন জানাচ্ছি।’
মানববন্ধনের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর ছয় দফা সম্বলিত একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
দফাগুলো হলো-
১. অনতিবিলম্বে বিশ্ববিদ্যালয় ও আবাসিক হলসমূহ খুলে দেয়ার ব্যবস্থা করা, যাতে সকল শিক্ষার্থীরা সৃষ্ট আবাসিক সংকট হতে উত্তরণ লাভ করতে পারে এবং পুনরায় স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারে।
২. শিক্ষা কার্যক্রম ব্যতীত দেশের সর্বত্রই নিয়মিত ও স্বাভাবিক কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। তাই অনতিবিলম্বে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষার্থীদের স্ব-শরীরে ক্লাস করার অনুমতি প্রদান করা।
৩. দ্রুত সময়ের মধ্যে ক্লাসগুলো শেষ করার জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগসমূহকে অবহিত করে পর্যায়ক্রমে ১ম, ২য়, ৩য়, ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
৪. সম্মান শেষ বর্ষের শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ বিবেচনায় দ্রুততম সময়ের মধ্যে স্ব-শরীরে ক্লাস করার অনুমতি প্রদান করা।
৫. সেশনজট নিরসনের জন্য সর্বোপরি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
৬. শাটল চলাচল বন্ধ হওয়াতে বেশিরভাগ শিক্ষার্থীদের যাতায়াতে বেশ সমস্যা হচ্ছে। তাই, উক্ত সমস্যা নিরসনে ফ্রি বাস সার্ভিস চালু করা।
উক্ত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবন্ধী ছাত্র সমাজের (ডিসকু) সাধারণ সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সভাপতি রোনাল চাকমা। দর্শন বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ফজলে রাব্বি কানন এবং ইংরেজি বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী শিহাবসহ আরও অনেকে।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রবিউল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, ‘আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০ জন শিক্ষার্থীর স্বাক্ষরযুক্ত সম্মিলিত একটি দরখাস্ত পেয়েছি। এতে আবাসিক হল খুলে দেয়া এবং শিক্ষা কার্যক্রম চালু করার দাবি জানানো হয়েছে। আমরা তাদের দাবির প্রতি পজেটিভ। করোনা পরিস্থিতি আরেকটু স্বাভাবিক হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের হল খুলে শিক্ষা কার্যক্রম চালু করার চিন্তা করা হচ্ছে।’
এআই/এনএস/