সৈয়দ মুজতবা আলীর মৃত্যুবার্ষিকী আজ
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১০:০৮ এএম, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২১ বৃহস্পতিবার
বরেণ্য কথাসাহিত্যিক সৈয়দ মুজতবা আলীর ৪৭তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ১৯৭৪ খ্রিষ্টাব্দের ১১ ফেব্রুয়ারি পিজি হাসপাতালের ১২৭নং কক্ষে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
মুজতবা আলী ১৯০৪ খ্রিষ্টাব্দের ১৩ সেপ্টেম্বর অবিভক্ত ব্রিটিশ ভারতে আসামের অন্তর্ভুক্ত সিলেটের করিমগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা খান বাহাদুর সৈয়দ সিকান্দার আলী সাব-রেজিস্ট্রার ছিলেন। তার পৈতৃক ভিটা মৌলভীবাজার, সিলেট।
শিক্ষাজীবনে তিনি সিলেটের গভর্নমেন্ট হাই স্কুলে নবম শ্রেণি পর্যন্ত অধ্যয়ন করেন। পিতার বদলির চাকরি হওয়ায় মুজতবা আলীর প্রাথমিক শিক্ষাজীবন কাটে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। ১৯২১ সালে তিনি শান্তিনিকেতনে ভর্তি হন। তিনি ছিলেন বিশ্বভারতীর প্রথমদিকের ছাত্র। এখানে তিনি সংস্কৃত, ইংরেজি, আরবি, ফার্সি, হিন্দি, গুজরাটি, ফরাসি, জার্মান ও ইতালীয় ভাষাশিক্ষা লাভ করেন। ১৯২৬ খ্রিষ্টাব্দে এখান থেকে বি.এ. ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর তিনি আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করেন। অতঃপর দর্শনশাস্ত্র পড়ার জন্য বৃত্তি নিয়ে জার্মানির বন বিশ্ববিদ্যালয়ে যান। তুলনামূলক ধর্মতত্ত্বে গবেষণার জন্য তিনি ডি.ফিল লাভ করেন ১৯৩২ খ্রিষ্টাব্দে। ১৯৩৪-১৯৩৫ খ্রিষ্টাব্দে তিনি মিশরে কায়রোর আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন।
দুই বাংলায় সমাদৃত এবং ষাটের দশকের সর্বাধিক জনপ্রিয় বাঙালি লেখক তিনি। বাংলা সাহিত্যে সৈয়দ মুজতবা আলীর আবির্ভাবই পরিব্রাজক হিসেবে। তিনি অজানার আকর্ষণে সকৌতূহলে ঘুরেছেন বিশ্বব্যাপী। একাত্ম হয়ে গিয়েছিলেন বিশ্ব তথা বিশ্বজনের সঙ্গে। ভ্রমণ কাহিনি ‘দেশ-বিদেশে’ লিখে সাহিত্য অঙ্গনে প্রবেশ করেন এবং লেখনীতে বিশ্বের বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর নিত্যদিনের আনন্দ-বেদনা, আশা-নৈরাশ্য, উদারতা, দুর্বলতা, সীমাবদ্ধতা তুলে ধরেন। তিনি বাংলা ভাষার শ্রেষ্ঠতম ভ্রমণ সাহিত্যের রচয়িতা। তার লেখা ‘চাচা কাহিনী’, ‘পঞ্চতন্ত্র’-এ বিশ্বের অনবদ্য চিত্র ফুটে উঠেছে।
১৯০৪ সালে ১৩ সেপ্টেম্বর আসামের করিমগঞ্জে জন্ম নেওয়া এই সাহিত্যিক ভাষাতত্ত্ব ও ধর্মতত্ত্বে অসাধারণ জ্ঞানের অধিকারী ছিলেন। তিনি আরবি, ফারসি, উর্দু, হিন্দি, সংস্কৃত, মারাঠি, গুজরাটি, ইংরেজি, ফরাসি, ইতালিয়ান ও জার্মান ভাষায় দক্ষ ছিলেন। ছিলেন রবীন্দ্র-সাহিত্যের একজন নিষ্ঠাবান অনুরাগী।
এসএ/