ঢাকা, মঙ্গলবার   ০৫ নভেম্বর ২০২৪,   কার্তিক ২১ ১৪৩১

ড্রেজারে মাটি উত্তোলন, হুমকিতে ফসলি জমিসহ বসতবাড়ি

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০৩:২৯ পিএম, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২১ বৃহস্পতিবার

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার তালশহর ইউনিয়নের তালশহর দক্ষিণপাড়ায় মাছ চাষের নামে পুকুর থেকে অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে হাজার হাজার ফুট মাটি উত্তোলন করা হচ্ছে। এতে শত শত ফসলি জমিসহ আশপাশের ঘর-বাড়ি হুমকির মুখে পড়েছে। 

স্থানীয় বাসিন্দা ও কৃষকদের অভিযোগ, এক সপ্তাহ যাবৎ এভাবে মাটি উত্তোলনের কার্যক্রম চলছে। এতে পুকুরের আশপাশের এলাকার ঘর-বাড়ি ও ফসলি জমি হুমকির সম্মুখীন। প্রায় ৪৫ শতক জায়গার পুকুর থেকে স্থানীয় প্রভাবশালী শফিকুল ইসলাম অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিন চালিয়ে মাটি উত্তেলন করলেও তাদের ভয়ে সাধারণ মানুষ কেউ মুখ খুলছে না। সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে ড্রেজারের মালিক সাময়িক সময়ের জন্য মেশিন বন্ধ রাখেন।

মাটি উত্তোলনের বিষয়ে জানতে চাইলে শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘পুকুরটি আমি জমা নিয়েছি। পাড় বাঁধার জন্য মাটি উত্তোলন করছি।’

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, চারদিকে ফসলি জমি। নতুন ধান রোপণের জন্য কৃষকরা চারা বোনন করছেন জমিতে। এর পাশেই ৪৫ শতাংশ জায়গার মাঝখানে ড্রেজার মেশিন বসানো হয়েছে। প্রতিদিনই অবৈধভাবে উত্তোলন করা হচ্ছে মাটি। পাইপ সংযোগের মাধ্যমে মাটি নির্দিষ্ট স্থানে জমা রাখা হচ্ছে।

স্থানীয় বাসিন্দা জাহাঙ্গীর মিয়া বলেন, ‘যেভাবে মাটি উত্তোলন করা হচ্ছে আমরা বসতবাড়ি ও ফসলি জমি নিয়ে হুমকির মধ্যে রয়েছি। মাটি উত্তোলন করে পাড় বাঁধার কথা বললেও কিন্তু তা না করে মাটি পাইপের মাধ্যমে কয়েক কিলোমিটার দূরে নিয়ে বিভিন্ন লোকজনের কাছে বিক্রি করছে।’

কৃষক আব্দুল কুদ্দসহ অন্যান্য জমির মালিকরা অভিযোগ করে বলেন, ‘পাশেই আমাদের কৃষি জমি। আমরা এর উপর নির্ভরশীল। আমাদের মতো আরো অনেক কৃষক রয়েছে তারাও চিন্তিত। আমরা দ্রুত এ বিষয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’

ড্রেজার মালিক সফর আলী বলেন, ‘১৭ হাজার ফুট মাটি উত্তোলনের কথা ছিল। এ পর্যন্ত পাঁচ হাজার ফুট উত্তোলন করা হয়েছে। কিন্তু মালিক নিষেধ করায় এখন বন্ধ রেখেছি।’

এ বিষয়ে আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও অরবিন্দু বিশ্বাস বলেন, ‘ড্রেজার মেশিন দিয়ে মাটি উত্তোলন করা আইনগত অপরাধ। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। অচিরেই এটি বন্ধ করা হবে।’
এআই/এসএ/