ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

চট্টগ্রামে করোনায় মৃত্যুশূন্য ১৮তম দিন

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০২:১৩ পিএম, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২১ শুক্রবার

চট্টগ্রামে মৃত্যুশূন্য ১৮তম দিনে করোনায় আক্রান্ত নতুন ৬৩ জন শনাক্ত হয়েছে। সংক্রমন হার ৩ দশমিক ৯৯ শতাংশ। এ সময়ে ৬১ জন সুস্থতার ছাড়পত্র পেয়েছেন।

সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্টে জানা যায়, চট্টগ্রাম নগরীর আটটি ল্যাব ও কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে গতকাল বৃহস্পতিবার ১ হাজার ৫৭৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে নতুন সংক্রমিত ৬৩ জনের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৫৬ জন এবং চার উপজেলার ৭ জন। উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে হাটহাজারীতে ৪ জন এবং সীতাকুন্ড, ফটিকছড়ি ও বাঁশখালীতে ১ জন করে রয়েছেন। 

জেলায় করোনাভাইরাসে মোট শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা এখন ৩৩ হাজার ৭৯০ জন। সংক্রমিতদের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ২৬ হাজার ৪১৭ জন ও গ্রামের ৭ হাজার ৩৭৩ জন।

গতকাল করোনায় কোনো রোগীর মৃত্যু হয়নি। ফলে মৃতের সংখ্যা ৩৬৯ জনই রয়েছে। এতে শহরের বাসিন্দা ২৬৮ জন ও গ্রামের ১০১ জন। সুস্থতার ছাড়পত্র পেয়েছেন নতুন ৬১ জন। এতে মোট আরোগ্য লাভকারীর সংখ্যা ৩১ হাজার ২৯৭ জনে উন্নীত হয়েছে। এর মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ৪ হাজার ৩১২ জন এবং ঘরে থেকে ২৬ হাজার ৯৮৫ জন। হোম কোয়ারেন্টাইন বা আইসোলেশনে নতুন ৮ জন যুক্ত হলেও কেউ ছাড়পত্র নেননি। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ৯৭১ জন।

উল্লেখ্য, গতকালসহ একটানা ১৮ দিন চট্টগ্রামে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত কোনো রোগীর মৃত্যু হয়নি। করোনার জটিলতায় সর্বশেষ এক রোগীর মৃত্যু হয় ২৪ জানুয়ারি। অন্যদিকে, গত দশ দিন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা একশ’র কম ছিল। পহেলা ফেব্রুয়ারি জীবাণুবাহক ১০৮ জন চিহ্নিত হয়। এর আগে ১২ জানুয়ারি থেকে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত একটানা ১৯ দিন করোনা ভাইরাসের বাহক সংখ্যা একশ’র নিচে ছিল। ১২ জানুয়ারি ১২৭ জন ভাইরাসবাহক শনাক্ত হয়। সেদিন ২ রোগীর মৃত্যু হয়। সংক্রমণের হার ছিল ১০ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ। করোনাকালের সবচেয়ে কম রেকর্ডটিও এ মাসের ৬ ফেব্রুয়ারি। এদিন ১ হাজার ২২৪ জনের নমুনা পরীক্ষায় ২১ জনের দেহে ভাইরাসের উপস্থিতি মেলে। সংক্রমণ হার ছিল ১ দশমিক ৭১ শতাংশ।

ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে। এখানে ৬৮১ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১৪ জন করোনা পজেটিভ পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) ল্যাবে ৩৯১ জনের নমুনার মধ্যে ৮ জন করোনায় আক্রান্ত শনাক্ত হন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ল্যাবে ৬৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলে ৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু) ল্যাবে ৪২ টি নমুনার ৯ টিতে ভাইরাস পাওয়া যায়। নগরীর একমাত্র বিশেষায়িত কোভিড চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল-এ ১ টি নমুনা পরীক্ষার জন্য দেয়া হলে সেটির রেজাল্ট নেগেটিভ আসে।

নগরীর তিন বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরির মধ্যে শেভরনে ২৫৯ টি নমুনা পরীক্ষা করে ১৩ টি, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ৫৮ টি নমুনায় ১১ টি এবং মা ও শিশু হাসপাতাল ল্যাবে ১২ টির মধ্যে ২ টিতে ভাইরাসের অস্তিত্ব মিলে। এদিন চট্টগ্রামের ৭০ জনের নমুনা কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে পাঠানো হয়। পরীক্ষায় একটি ছাড়া সবগুলোর ফলাফল নেগেটিভ আসে।

ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে বিআইটিআইডি’তে ২ দশমিক ০৫ শতাংশ, চমেকে ২ দশমিক ০৪, চবিতে ৭ দশমিক ৬৯, সিভাসু’তে ২১ দশমিক ৪৩, আরটিআরএলে ০ শতাংশ, শেভরনে ৫ দশমিক ০২, ইম্পেরিয়ালে ১৮ দশমিক ৯৬, মা ও শিশু হাসপাতালে ১৬ দশমিক ৬৭ এবং কক্সবাজার মেডিকেল কলেজে ১ দশমিক ৪৩ শতাংশ সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়।
সূত্র : বাসস
এসএ/