এক যুগে ঢাকার জলাভূমি ও নিম্নাঞ্চলের ৯০ শতাংশই ভরাট হয়ে গেছে
প্রকাশিত : ০২:০৭ পিএম, ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ মঙ্গলবার | আপডেট: ০২:১৫ পিএম, ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ মঙ্গলবার
এক যুগে ঢাকার জলাভূমি ও নিম্নাঞ্চলের ৯০ শতাংশই ভরাট হয়ে গেছে। এর প্রভাব যেমন নাগরিক জীবনে পড়েছে, তেমনি ক্ষতি হচ্ছে জীববৈচিত্রের। দেশের অন্যান্য বিভাগীয় শহরেও প্রায় একই চিত্র। বিভিন্ন দেশের মতো বাংলাদেশে আজ জলাভূমি দিবস পালিত হলেও, বছরের বাকি সময়গুলোতে দখল-দূষণ নিয়ে তেমন উদ্যোগ চোখে পড়ে না।
১৯৭১ সালের এ দিনে কাস্পিয়ান সাগর তীরবর্তী ইরানের রামসার শহরে জলাভূমি সম্মেলন হয়। সেখানে তখন জলাভূমির আন্তর্জাতিক উপযোগিতার কথা তুলে ধরা হয়। আর ১৯৯৭ সালে প্রথমবারের মতো যখন বিশ্বব্যাপী এ দিবস পালিত হয়, তখন থেকে গুরুত্ব পায় জলভূমি রক্ষায় বিষয়টি। বাংলাদেশেও এনিয়ে গুরুত্ব থাকে। এবার দিবসের প্রতিপাদ্য হলো ‘জলাভূমি আমাদের ভবিষ্যৎ: স্থায়িত্বশীল জীবনযাত্রার জন্য জলাভূমি’।
জলাভূমি রক্ষাবিষয়ক বৈশ্বিক সংস্থা ‘রামসা’র জরিপে দেখা গেছে, ১৯০০ সাল থেকে চলতি বছর পর্যন্ত বিশ্বের ৬৪ শতাংশ জলাভূমি ধ্বংস হয়ে গেছে। এই উদ্বেগে যতটা ভূগছে বিশ্ব, তারচে কোন অংশে কম শংকায় নেই ঢাকাবাসী।
জাতিসঙ্ঘের এক সমীক্ষায় বলা হয় ঢাকায় এক যুগ আগেও সবুজ এলাকা ছিল প্রায় ৮০ বর্গকিলোমিটার। আর জলাভূমি ছিল ১’শ কিলোমিটারেরও বেশি। সেই জলাভূমি ও নিম্নাঞ্চলের ৯০ শতাংশই আজ ভরাট হয়ে গেছে।
রাজধানীর আশপাশে জলাশয় ভরাট হয়ে যাওয়ায় এক দিকে যেমন বন্যার ঝুঁকিতে রয়েছে ঢাকা, তেমনি শুষ্ক মওসুমে অধিক মাত্রায় ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলনের মাত্রাও যাচ্ছে বেড়ে।
রাজধানীর মত দেশের বিভিন্ন স্থানেও অবৈধভাবে ভরাট করা হচ্ছে জলাভুমি। নদী দখল করে বরগুনার বিষখালী নদীপাড়ে গড়ে উঠেছে বেশ কিছু ইটভাটা। এরফলে হুমকিতে রয়েছে সংরক্ষিত বন। ইটভাটার ধোঁয়ায় হরিনসহ বিভিন্ন বন্য প্রাণী ঝুঁকিতে রয়েছে।
মৌলভীবাজারেও পুকুর-জলাশয় দখল করে স্থাপনা গড়ে তুলছে প্রভাবশালী মহল। এমন চিত্র দেশের অন্যান্য বিভাগীয় শহরে আরও বেশি।