সোনাইমুড়িতে নির্বাচনী সহিংসতা, গুলিবিদ্ধ ১
নোয়াখালী প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ০৪:০৯ পিএম, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১ রবিবার
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি পৌরসভা নির্বাচনে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে একজন গুলিবিদ্ধসহ আহত হয়েছেন ৩ জন। আজ রোববার পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের আলোকপাড়ার ভাঙ্গা পুলের পাশে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহতদের ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহতরা হলেন- বাহারকোট গ্রামের আবদুল হকের ছেলে মোহন (১৮), আমিরাবাদ গ্রামের আবুল হাসেমের ছেলে সালাউদ্দিন (২৭) ও উলুপাড়া গ্রামের স্বপনের ছেলে মনির (২২)।
নোয়াখালী পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন সাংবাদিকদের জানান, ‘শুনেছি কেন্দ্রের বাইরে বিচ্ছিন্নভাবে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে কয়েকজন আহত হয়ে নোয়াখালী সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।’
এদিকে দুপুর ১টার দিকে অনিয়মের অভিযোগে ৮নং ওয়ার্ডের কাঠালি মোহাম্মদিয়া হাফেজিয়া নূরানী তালিমুল কোরআন ও এতিমখানা কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ বন্ধ ঘোষণা করে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা।
নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. সৈয়দ মহিউদ্দিন আব্দুল আজিম জানান, ‘মোহন নামে এক যুবক বাম পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়। এছাড়াও আরো দুইজন আশঙ্কামুক্ত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।’
এদিকে সকাল ৮টা থেকে সোনাইমুড়ি পৌরসভায় ৯টি ও চাটখিল পৌরসভায় ১০টিসহ মোট ১৯টি কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। দুটি পৌরসভায়ই ভোটার উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো। বিশেষ করে নারী ভোটাদের ব্যাপক উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে।
চাটখিল পৌরসভার ভোটার সংখ্যা ২৪ হাজার ৯৩৬ জন। এ পৌরসভায় মেয়র পদে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মো. নিজাম উদ্দিন, বিএনপি’র মোস্তফা কামাল, জাতীয় পার্টিও ফজলুল হক ও সতন্ত্র পার্থী হিসেবে আরও ৩ জনসহ মোট ৬ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৪৮ জন ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ১০ জন প্রতিদ্বন্দিতা করছেন।
অন্যদিকে, সোনাইমুড়ি পৌরসভায় ২৫ হাজার ২৩২ জন ভোটারের বিপরীতে মেয়র প্রার্থী আওয়ামী লীগের ভিপি নূরুল হক, বিএনপির প্রার্থী মোতাহের হোসেন মানিক ও স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছেন ২ জন। সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৩৯ জন ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৭ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯টি কেন্দ্রের জন্য ১৮ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ছাড়াও প্রতিটি কেন্দ্রের নিরাপত্তার দায়িত্বে চারজন করে পুলিশ ও ৯ জন করে আনসার বাহিনীর সদস্য, একজন করে পরিদর্শকের নেতৃত্বে পুলিশের একটি করে টহল দল ও র্যাবের ছয়টি এবং আট প্লাটুন বিজিবি টহল দিচ্ছেন।
এআই//