উপচে পড়া লাইনে দাঁড়িয়েই ভ্যাকসিন নিলেন এএসপি
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৪:০৭ পিএম, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১ মঙ্গলবার
টিকা গ্রহণকালে হাস্যোজ্জ্বল এএসপি আনোয়ার হোসেন শামীম
স্বাস্থ্যমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইজিপিসহ অন্য সবার মতো করোনার ভ্যাকসিন নিয়েছেন আলোচিত পুলিশ কর্মকর্তা, চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের রাঙ্গুনিয়া সার্কেলের দায়িত্বে নিয়োজিত এএসপি মো. আনোয়ার হোসেন শামীম। সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১২টায় রাঙ্গুনিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টিকা দান বুথে সাধারণ জনগণের সঙ্গে লাইনে দাঁড়িয়ে তিনি এ ভ্যাকসিন গ্রহণ করেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রাঙ্গুনিয়ায় চিকিৎসক এবং প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত স্বাস্থ্যকর্মীদের তত্ত্বাবধানে সরকারি নিয়মনীতি অনুসরণ করে প্রতিদিন করোনার টিকা প্রদান কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। প্রথমদিকে অনেকে টিকা গ্রহণ নিয়ে দোটানায় থাকলেও এখন সেই দ্বিধা অনেকটাই কেটে গেছে। এদিন দুপুরে রাঙ্গুনিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এই প্রতিবেদক সরেজমিন উপস্থিত হয়ে দেখতে পান যে, কয়েকশ নারী-পুরুষ সারিবদ্ধভাবে টিকাদান বুথের সামনে দাঁড়িয়ে আছেন। সাড়ে ১২টার দিকে সার্কেল এএসপি সেখানে উপস্থিত হলে উপস্থিত স্বাস্থ্যকর্মীগণ তাকে সরাসরি ভেতরে গিয়ে টিকা গ্রহণ করার অনুরোধ জানান। কিন্তু সকলকে অবাক করে দিয়ে এ ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা অন্য সবার মতো লাইনে দাঁড়িয়েই টিকা গ্রহণ করেন।
এ প্রসঙ্গে এএসপি মো. আনোয়ার হোসেন শামীম বলেন, সবাই কষ্ট করে লাইন ধরে দাঁড়িয়ে তারপর টিকা নিচ্ছিলেন। আমি বাড়তি সুবিধা গ্রহণ না করে চেয়েছি তাদের সাথে অপেক্ষার কষ্টটি ভাগাভাগি করে নিতে। টিকা গ্রহণের পর সুস্থ-স্বাভাবিক আছেন জানিয়ে সবাইকে নির্ভয়ে টিকা নেওয়ারও অনুরোধ জানান র্যাবের সাবেক এই কর্মকর্তা।
উল্লেখ্য, এএসপি আনোয়ার হোসেন শামীম সিলেট র্যাব-৯ এর করোনা রেসপন্স এন্ড ম্যানেজমেন্ট টিমের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হিসেবে অসংখ্য করোনা রোগীর চিকিৎসা ও পুনর্বাসন প্রক্রিয়ায় প্রত্যক্ষভাবে সম্পৃক্ত ছিলেন। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দিনরাত ওয়ার্ডে করোনা রোগীদের সাথে পড়ে থেকে মানবতার অনন্য নজীর স্থাপন করেন তিনি।
এর আগে শ্রীমঙ্গল র্যাব ক্যাম্পের অধিনায়ক হিসেবে করোনাকালে তার ব্যাপকভিত্তিক ত্রাণ এবং মানব সেবামূলক কার্যক্রমও দেশবাসীর অকুণ্ঠ প্রশংসা পায়। ৩৪তম বিসিএস পুলিশ ব্যাচের এই মেধাবী কর্মকর্তা খাগড়াছড়ি জেলার উত্তর বড়বিল গ্রামের বিলকিস বেগম এবং আব্দুল মান্নান দম্পতির তৃতীয় সন্তান।
এনএস/