ভ্যাক্সিনের কোন অভাব নেই, ভবিষ্যতেও হবে না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৫:১১ পিএম, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১ বুধবার
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, করোনা ভ্যাক্সিনের অভাব কখনই হবে না। দেশের সকলেই ভ্যাক্সিন পাবেন। তিনি বলেন, ‘শুরুতেই দেশে ৭০ লাখ ভ্যাক্সিন আনা হয়েছে। আবার এর মধ্যেই এই ২২ ফেব্রুয়ারী দেশে আরো ২৫ লাখ ভ্যাক্সিন আনা হচ্ছে। এভাবে প্রতি মাসেই নিয়মিতভাবে ভ্যাক্সিন আনা হবে। ফলে ভ্যাক্সিনের অভাব কখনই হবে না এবং দেশের সকলেই ভ্যাক্সিন পাবেন।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আজ বুধবার দুপুরে ঢাকা ডেন্টাল কলেজে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল ও মুজিব কর্নারের উদ্বোধন এবং অডিটোরিয়ামের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।
জাহিদ মালেক বলেন, প্রতিটি ভ্যাক্সিন কেন্দ্রের স্থানীয় লোকের হার ও চাহিদা অনুযায়ী প্রথম ডোজের ভ্যাক্সিন সরবরাহ করা হয়েছে। কোন কোন কেন্দ্রে এই চাহিদা ও রেজিষ্ট্রেশনের হার তুলনামূলক অনেক বেশি হয়ে গেছে। একারনে কিছু কেন্দ্রে ভ্যাক্সিন স্বল্প সময়ের জন্য কমে গেলেও সময় মতো সেখানে চাহিদা মাফিক ভ্যাক্সিন পাঠিয়ে দেয়া হবে।
তিনি বলেন, ভ্যাক্সিন গ্রহনে ইচ্ছুক যেকোন ব্যক্তি সুরক্ষা এপে রেজিষ্ট্রেশন করলে তিনি দুদিন আগে পরে ভ্যাক্সিন অবশ্যই পাবেন। কোন কেন্দ্রে রেজিষ্ট্রেশন করা ব্যক্তির সংখ্যা বেশি সংখ্যক হলে সেক্ষেত্রে ভ্যক্সিন গ্রহনের তারিখ কিছুটা পেছনে চলে গেলেও ভ্যাক্সিন পেতে কোন সমস্যা হবে না।
জাহিদ মালেক বলেন, পৃথিবীর অনেক দেশ এখন পর্যন্ত জাতীয় পর্যায়ে টিকাদান কর্মসূচি শুরুই করতে পারেনি। আমরা শুরু করেছি এবং ইতোমধ্যেই ১৩ লাখ মানুষ টিকা নিয়েছেন ও প্রায় ২৫ লাখ মানুষ রেজিষ্ট্রেশন করেছেন। আপনারা সবাই নিশ্চিন্তে টিকা নিন, দেশে ভ্যাকসিনের কোন অভাব নেই ভবিষ্যতেও হবে না।
তিনি বলেন, আজকে আমাদের সংক্রমণের হার অনেক কম। সুস্থতার হার প্রায় ৯০ শতাংশ। ডাক্তার নার্সরা জীবন দিলো, কিন্তু সমালোচনা থামছে না। আমাদের প্রশংসা করতে হবে। প্রশংসা করলে চিকিৎসক, নার্স, টেকনোলজিস্টরা আরো বেশি অনুপ্রাণিত হবে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, টিকার দ্বিতীয় ডোজ চার সপ্তাহ পরে নেয়ার কথা ছিল, এখন তা আট সপ্তাহ করা হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুসারে এই সিদ্ধান্ত আমরা নিয়েছি। অক্সফোর্ডের এই ভ্যাকসিন প্রথম ডোজ দেয়ার পর দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার জন্য তিন মাস সময় পাবেন। যত দেরিতে নিবেন, শরীরে তত বেশি অ্যান্টিবডি তৈরি হবে এবং ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা অনেক বেশি হবে। এই জন্য আমরা দ্বিতীয় ডোজের সময় নির্ধারণ চার সপ্তাহের বদল আট সপ্তাহ করেছি।
এর আগে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ঢাকা ডেন্টাল হাসপাতালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর মুর্যাল উন্মোচন সহ অডিটোরিয়ামের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন এবং মুজিব কর্ণার উদ্বোধন করেন।
ঢাকা ডেন্টাল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. হুমায়ুন কবীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশনের (বিএমএ) সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) অধ্যাপক ডা. এম. ইকবাল আর্সলান, মহাসচিব অধ্যাপক এম এ আজিজ প্রমুখ।
আরকে//