বিশ্বে ভাষার জন্য প্রাণ দিয়েছে একমাত্র বাঙালি জাতিই (ভিডিও)
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১১:৪০ এএম, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২১ রবিবার
একুশ বাঙালির প্রেরণার উৎস। বিশ্বের বুকে বাঙালিই একমাত্র জাতি, যারা মায়ের ভাষার অধিকার আদায়ে প্রাণ দিয়েছে। একুশের চেতনায় এসেছে স্বাধীন বাংলাদেশ। স্বাধীন দেশেও বার বার আঘাত এসেছে একুশের চেতনার ওপর। সব ষড়যন্ত্র ছিন্ন করে একুশের শক্তিতেই এগিয়ে চলছে বাঙালি। বিশিষ্টজনেরা বলছেন, চক্রান্তকারীরা এখনো সক্রিয়। তাই সচেতন থাকার পরামর্শ তাদের।
পাকিস্তান রাষ্ট্র সৃষ্টির পর পরই ভাষার ওপর আঘাত। আটচল্লিশেই রাষ্ট্র ভাষার দাবিতে রাজপথে বাঙালি।
আটচল্লিশ থেকে বায়ান্ন, মায়ের ভাষা রক্ষার সংগ্রাম। বায়ান্নের একুশে ফেব্রুয়ারি শহীদ হন রফিক, বরকত, শফিক, সালামসহ নাম না জানা অনেকেই। পৃথিবীতে বাঙালিই একমাত্র জাতি, যে জাতি ভাষার জন্য প্রাণ দিয়েছে। ভাষা আন্দোলনের পথ বেয়ে মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা। বাংলা আজ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা, আর একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস।
একুশের প্রেরণায় আজও বাঙালিকে পথ দেখায়।
ভাষাসংগ্রামী আহমদ রফিক বলেন, শহীদ মিনারও একইভাবে সেই শোক, সেই প্রতিবাদ এবং সেই আন্দোলনের প্রেরণা। সে গণতন্ত্র হোক, গণতন্ত্রের আন্দোলন হোক, সমাজতান্ত্রিক আন্দোলন হোক আর যাই হোক।
মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক বলেন, অর্জনে নিশ্চয়ই একটি শক্তি আমি পাই কিন্তু দায়িত্ববোধটা আমাকে আরও অনেক সামনের দিকে এগিয়ে যেতে বলে।
৭৫ এ নতুন ষড়যন্ত্র। হত্যা করা হয় জাতির পিতাকে। একুশের প্রেরণায় যুদ্ধ করে যে জাতি দেশ স্বাধীন করেছে তাদেরকে তো দাবিয়ে রাখা যায় না। বিশিষ্টজনরা বলছেন, এখনও দেশবিরোধী চক্রান্ত থেমে নেই।
ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শহরিয়ার কবির বলেন, বাংলাদেশকে আবার পাকিস্তানের মতো মৌলবাদী, সাম্প্রদায়িক একটা ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করা। সেই প্রতিশোধ স্পৃহা নিয়েই তারা কিন্তু এই মৌলিবাদী, সাম্প্রদায়িক, স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তির রাজনীতি করছে। তাদের যে প্রতিষ্ঠানগুলো আছে সেগুলো সরকারের নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে।
মফিদুল হক বলেন, নানারকমভাবে কাজ করতে হবে। এই সমস্ত কাজের গতিমুখ হবে বাঙালি সত্তার বিকাশ এবং সকল বাঙালির মুক্তি। বাংলা ভাষার মুক্তি সত্যিকার অর্থে তখনই ঘটবে।
বছরের একটি দিন স্মৃতির মিনারে শুধু ফুল দিয়ে আনুষ্ঠানিকতা সারা নয়। শপথ নিতে হবে- একুশের চেতনা ধারণ করে এগিয়ে চলার।
ভিডিও-
এএইচ/