যথাযোগ্য মর্যাদায় সারাদেশে ভাষা শহীদদের স্মরণ
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৪:০৪ পিএম, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২১ রবিবার
সারাদেশে যথাযোগ্য মর্যাদায় আজ পালিত হচ্ছে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। ১৯৫২ সালের এই দিনে মাতৃভাষার দাবিতে রাজপথে শহীদ হন রফিক, শফিক, সালাম, বরকত ও জব্বারসহ আরও অনেকে। সেই থেকে প্রতিবছর জাতির এ শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানায় গোটা বাঙালি জাতি।
তবে এবার চলমান বৈশ্বিক মহামারি করোনার কারণে শহীদ মিনারে প্রবেশে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নির্দেশ দেয়া হয় সরকারের পক্ষ থেকে। যদিও তা তেমনটা পালন করতে দেখা যায়নি।
প্রতিবছরের ন্যায় এবারও ভাষা শহীদদের প্রতি সর্বপ্রথম শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে তারা এবার সশরীরে উপস্থিত ছিলেন না। প্রথমে রাষ্ট্রপতির পক্ষে তার সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এসএম সালাহউদ্দিন ইসলাম এবং প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে তার সামরিক সচিব মেজর জেনারেল নকীব আহমেদ চৌধুরী কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
এরপরই জাতীয় সংসদের স্পিকার, মন্ত্রীপরিষদের সদস্য থেকে শুরু করে সর্বস্তরের মানুষ শহীদদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। একইসঙ্গে সংসদের বিরোধী দল, দেশের আইন শৃঙ্খলাবাহিনী ও কূটনীতিকরা শহীদদের স্মরণ করেন।
বেদি প্রাঙ্গণে রোববার রাত ১২টা ১ মিনিটে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে শুরু করে সারাদেশে সামাজিক, রাজনৈতিক, সাস্কৃতিক সংগঠনগুলো তাদের নিজস্ব ব্যানারে ভাষা শহীদদের স্মরণ করে। ফুলে ফুলে ভরে যায় দেশের সকল শহীদ মিনার।
নোয়াখালী: নোয়াখালীতে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করা হচ্ছে ভাষা শহীদদের। একুশের প্রথম প্রহরে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে জেলা ও পুলিশ প্রশাসন, আওয়ামী লীগ, বিএনপি, নোয়াখালী প্রেস ক্লাবসহ বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি দফতর। শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ১২টা এক মিনিটে প্রথম শ্রদ্ধা জানান সংসদ সদস্য মামুনুর রশিদ কিরন।
পরে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসক মো. খোরশেদ আলম খাঁন এবং জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগ, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড। যুবলীগ, ছাত্রলীগ, যুবদল ও ছাত্রদলসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষের ভালবাসায় সিক্ত হতে থাকেন শহীদরা। এছাড়াও একে একে ভাষা শহীদদের ফুল দিয়ে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও সাংবাদিক সংগঠন।
মোংলা: ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের মধ্যদিয়ে বাগেরহাটের মোংলায় নানা কর্মসূচিতে পালিত হয়েছে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। রোববার রাত ১২টা ১ মিনিটে পৌর শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের প্রতি ফুল দিয়ে গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বাগেরহাট-৩ আসনের সংসদ পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার।
পরে মোংলা উপজেলা চেয়ারম্যান আবু তাহের হাওলাদার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কমলেশ মজমদার, শহকারী কমিশনার (ভূমি) নয়ন কুমার রাজ বংশী, ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ ইকবাল হোসেন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মিসেস কামরুন নাহার হাই ছাড়াও উপজেলা প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা, মোংলা প্রেস ক্লাব, আওয়ামীলীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন শ্রদ্ধা জানায়। দিবসটি উপলক্ষে প্রশাসনের পক্ষ থেকে শহীদ মিনার চত্বরে নেয়া হয় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
টাঙ্গাইল: টাঙ্গাইলে একুশের প্রথম প্রহরে রোববার রাত ১২টা ১ মিনিটে টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সংসদ সদস্য ছানোয়ার হোসেন, জেলা প্রশাসক ডক্টর মো. আতাউল গণি, পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায় শহীদ বেদীতে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এরপর জেলা পরিষদ, টাঙ্গাইল পৌরসভা, টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন সংগঠন, আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সরকারী-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সর্বস্তরের মানুষ শহীদদের স্মরণে শহীদ বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
এর আগে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে চলে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের উদ্যোগে দেশাত্ববোধক গানের অনুষ্ঠান। এছাড়াও জেলা প্রশাসন ও বিভিন্ন সংগঠনের আয়োজনে দিনব্যাপী চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, আলোচনা সভাসহ নানা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে।
গাজীপুর: গাজীপুরে প্রথম প্রহরে নগরীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল ও নগর মেয়র অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম, জেলা প্রশাসক এস এম তরিকুল ইসলাম। এরপর মেট্রোপলিটন পুলিশ, জেলা পুলিশ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, গাজীপুর প্রেসক্লাব, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
সিরাজগঞ্জ: নানা আয়োজনে মহান মাতৃভাষা আন্দোলনে আত্মদানকারী শহীদের স্মরণ করছে সিরাজগঞ্জবাসী। রোববার রাত ১২টা ১ মিনিটে বাজার স্টেশন সংলগ্ন মুক্তি সোপানে শহীদ মিনারে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন জেলা প্রশাসন, আওয়ামী লীগ, পুলিশ প্রশাসন, প্রেস ক্লাব। এছাড়াও অফিস আদালত সহ বিভিন্ন সংস্থার পক্ষ থেকে পুস্পস্তবক অর্পন করে শহীদদের প্রতি সম্মান জানানো হয়।
সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সরকারি আধাসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান সমূহের ভবনে এবং বেসরকারি ও ব্যক্তিমালিকানাধীন ভবন প্রতিষ্ঠান সমূহে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতভাবে উত্তোলন করা হয়।
এছাড়াও সকল মসজিদ, মন্দির, গির্জায় ভাষা আনন্দোনলসহ সকল মুক্তিযোদ্ধা এবং দেশের জন্য আত্মদানকারী সকল শহীদদের আত্নার মাগফিরাতসহ দেশের সুখ শান্তি সমদ্ধি কমনা করে বিশেষ মোনোজাত ও প্রার্থনা করা হয়। জেলা শিল্প কলা একাডেমির উদ্যোগে শহীদ এম মুনসুর আলী আডিটোরিয়ামে আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
রাজবাড়ী: বিনম্র শ্রদ্ধায় ভাষা শহীদদের স্মরণ করা হচ্ছে। সূর্যোদয়ের সাথে সাথে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, জেলার সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে রেল মাঠে অবস্থিত শহীদ মিনারে মানুষ শ্রদ্ধা জানাতে আসে। করোনা ভাইরাসের কারণে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সংক্ষিপ্তভাবে শ্রদ্ধা জানানোর জন্য বলা হয়। এছাড়াও জেলা প্রশাসনের আয়োজন মিলাদ মাহফিল, কুউজ প্রতিযোগিতা ও আলোচনা সভার আয়োজ করা হয়েছে।
হাবিপ্রবি: হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্যদিয়ে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হয়েছে। কর্মসূচির অংশ হিসেবে রোববার সূর্যোদয়ের সাথে সাথে প্রশাসনিক ভবনের সম্মুখে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত ও কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়। সকাল সাড়ে ৮টায় কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. বিধান চন্দ্র হালদালের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা কালো ব্যাচ ধারণ করে প্রভাতফেরিতে অংশ নেয়।
পরে কোষাধ্যক্ষের নেতৃতে শহীদদের বিদেহী আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এরপর ক্রমান্বয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (হাবিপ্রবি শাখা)-এর নেতৃবৃন্দ ও কর্মচারীগণ। এছাড়া গণমাধ্যম কর্মীদের সংগঠন হাবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতি সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সংগঠন পুস্পস্তবক অর্পণ করে মহান ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
এরপর শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে প্রথম আলো বন্ধুসভার আয়োজনে ‘চেতনায় ২১’ নামে একটি দেয়ালিকার উদ্বোধন করেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. বিধান চন্দ্র হালদার। এদিকে, বাদ জোহর ভাষা শহীদদের উদ্দেশ্যে কেন্দ্রীয় মসজিদে মিলাদ মাহফিল ও বিশেষ দোয়ার আয়োজন করা হয়েছে।
নোবিপ্রবি: নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) আজ রোববার সকালে শুরুতে শোকর্যালি অনুষ্ঠিত হয়। র্যালিটি প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে শুরু হয়ে হল রোডগুলো প্রদক্ষিণ করে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করার মাধ্যমে শেষ হয়।
শহীদ মিনারে প্রথমে নোবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. দিদার-উল-আলম শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন। পরে নোবিপ্রবি বিভিন্ন অনুষদ, ইনস্টিটিউট, হল, বিভাগ, শিক্ষক সমিতি ও অফিসার্স এসোসিয়েশন, নীল দল, স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদ, নোবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতি, বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে পুষ্পাঞ্জলি নিবেদন করা হয়।
পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. দিদার-উল-আলম ২১ ফেব্রুয়ারি ভাষা আন্দোলন নিহত শহীদদের স্মরণে সংক্ষিপ্ত বক্তৃতা করেন। বক্তৃতায় উপাচার্য মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের মাহাত্ম্য ও গুরুত্ব তুলে ধরেন।
এ সময় উপস্তিত ছিলেন, নোবিপ্রবি কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মো. ফারুক উদ্দিন, শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর, সাধারণ সম্পাদক মজনুর রহমান, অফিসার্স এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মেজবাহ উদ্দিন (পলাশ) প্রমুখ।
এছাড়াও অন্যান্যদের মাঝে আরো উপস্তিত ছিলেন, নোবিপ্রবি বিভিন্ন অনুষদসমূহের ডিন, ইনস্টিটিউটসমূহের পরিচালক, বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যানবৃন্দ, হলের প্রভোস্টবৃন্দ, শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ, অফিসার্স এসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ এবং ছাত্র-শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ। এছাড়াও নোবিপ্রবি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাশে ২১ ফেব্রুয়ারি ভাষা আন্দোলনে নিহত শহীদদের স্মরণে বিশ্ববিদ্যালয়ের রোভার স্কাউটের আয়োজনে নোবিপ্রবি উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ দিদার-উল-আলম দেয়ালিকা উন্মোচন করেন।
ববি: বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে দিবসটি উপলক্ষে রোববার সকাল সাড়ে ৯টায় জাতির সূর্যসন্তান ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবদনের উদ্দেশ্যে উপাচার্যের নেতৃত্বে শোক র্যালি বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের কেদ্রীয় শহীদ মিনারে এসে সমবেত হয়।
শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফসর ড. মো. ছাদেকুল আরেফিন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন, রেজিস্ট্রার, শিক্ষক সমিতির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, প্রভোস্ট, বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষকমন্ডলী, কর্মকর্তা, কর্মচারীসহ ববির বিভিন্ন সংগঠনর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
হিলি: দিবসের প্রথম প্রহরে শনিবার দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিটে হাকিমপুর উপজেলা পরিষদ চত্বরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে উপজেলা চেয়ারম্যান হারুন উর রশীদ ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নূর-এ আলমের নেতৃত্বে প্রথমেই উপজেলা প্রশাসন ফুল দিয়ে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এর পরে বীর মুক্তিযোদ্ধা, পুলিশ, পৌরসভাসহ একে একে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
রোববার সকালে বিভিন্ন স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। তবে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব মেনে শ্রদ্ধা নিবেদনের কথা থাকলেও অনেকেই সেটি মানেননি।
এর পরে উপজেলা পরিষদ মুক্তমঞ্চে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নূর-এ আলমের সভাপতিত্বে এক আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপজেলা চেয়ারম্যান হারুন উর রশীদ, ভাইসচেয়ারম্যান শাহিনুর রেজা, পৌরমেয়র জামিল হোসেন, ওসি (তদন্ত) মোস্তাফিজুর রহমান, কৃষি অফিসার ড. মমতাজ সুলতানা, ভেটেরিনারী সার্জন রতন কুমারসহ অনেকে।
এতে বক্তারা মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরেন। আলোচনাসভা শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। পরে চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
এআই//