জরুরি সংবাদ সম্মেলনে আসছেন শিক্ষামন্ত্রী
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০২:০৮ পিএম, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২১ সোমবার
করোনা মহামারির কারণে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (কওমি ছাড়া) বন্ধ। তবে চলমান পরিস্থিতির অনেকটা উন্নতি হওয়ায় সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেয়ার চিন্তা করছে সরকার।
এ নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু করে জাবি, রাবি, ববিসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালেয়ের শিক্ষার্থীরা আন্দোলনও করে আসছেন। এমতাবস্থায় আজ জরুরি সংবাদ সম্মেলনে আসছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, করোনাকালে উচ্চশিক্ষার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে অনলাইন সংবাদ সম্মেলন করবেন শিক্ষামন্ত্রী। সোমবার দুপুর ২টায় এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
দেশে গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর ১৭ মার্চ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হয়। কয়েক ধাপে বাড়ানোর পর এ বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ছুটি ছিল। সেই ছুটি পরে বাড়ানো হয় ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
করোনাভাইরাসের কারণে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের মধ্যে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে টিভিতে ক্লাস সম্প্রচার করা হচ্ছে। আর উচ্চ মাধ্যমিক এবং উচ্চ শিক্ষাস্তরে অনলাইনে ক্লাস পরিচালনা করছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো।
অন্যদিকে, একই বছরের ২৬ মার্চ থেকে ৩০ মে পর্যন্ত ৬৬ দিনের সাধারণ ছুটি শেষে ৩১ মে সীমিত পরিসরে অফিস ও ১ জুন থেকে গণপরিবহন খুলে দেওয়া হয়। চলমান করোনা পরিস্থিতি অবনতি না হলে চলতি মাসের মাঝামাঝি দেশের সব স্কুল-কলেজ খুলে দেয়া হবে বলে গত ২৭ জানুয়ারি জানিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
আর ৩০ জানুয়ারি উচ্চ মাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা আশা করছি হয়তো আগামী মার্চ-এপ্রিল...মাসটা আমরা দেখবো, কারণ আমাদের দেশে মার্চ মাসেই ব্যাপকহারে করোনাভাইরাস শুরু হয়েছিল। এই ফেব্রুয়ারি মাস নজরে রাখব। যদি ফেব্রুয়ারিতে ভালো থাকে পরবর্তীতে সীমিত আকারে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার চিন্তা ভাবনা আছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এজন্য দরকার সবাইকে স্বাস্থ্য সুরক্ষা মেনে চলা ও করোনাভাইরাস মোকাবেলায় যা যা ব্যবস্থা আছে তা গ্রহণ করা। আর ভ্যাকসিন তো সবাই পেয়ে যাবেন।’
এর আগে ২২ জানুয়ারি করোনা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে গাডলাইন প্রকাশ করে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর। এ গাইডলাইন অনুসরণ করে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে। এরপর ২৮ জানুয়ারি সে প্রস্তুতি মনিটরিং বা পর্যবেক্ষণ করার নির্দেশনা দেয়া হয় মাঠ পর্যায়ের শিক্ষা কর্মকর্তাদের।
এআই/ এসএ/