হল ত্যাগের নির্দেশ শিক্ষামন্ত্রীর
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৩:১১ পিএম, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২১ সোমবার
নির্দেশনা অমান্য করে যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলে শিক্ষার্থীরা প্রবেশ করেছেন তাদেরকে অবিলম্বে হল ত্যাগের নির্দেশ দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
একই সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাহিরে যদি কোন শিক্ষার্থী আইন শৃঙ্খলা বিরোধী কিংবা অনৈতিক কাজে জড়িয়ে পড়েন তাহলে তার দায়িত্ব বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নিবে না। প্রচলিত আইনে তার বিচার হবে বলে জানান তিনি।
আজ সোমবার দুপুর ২টায় এক ভার্চুয়ালি সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন,‘বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) ও বিশ্ববিদ্যায়ের উপাচার্যদের সঙ্গে আলোচনা করে ঈদুল ফিতরের পর আগামী ২৪ মে থেকে ক্লাস শুরুর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তার আগে এক সপ্তাহ আগে ১৭ মে থেকে খুলে দেয়া হবে আবাসিক হল।’
ডা.দীপু মনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি আমাদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও আমরা অনলাইনে ক্লাস চালু রেখেছি। তবে এ সমস্যা শুধু বাংলাদেশে নয়, উন্নত দেশগুলোতেও সব শিক্ষার্থী অনলাইনে ক্লাস করত পারছে না।’
তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় খোলার আগ পর্যন্ত এই সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের টিকা দেয়া হবে। একই সাথে সকল শিক্ষার্থীদেরও টিকা প্রদান নিশ্চিত করা হবে।’
দেশে গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর ১৭ মার্চ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হয়। কয়েক ধাপে বাড়ানোর পর এ বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ছুটি ছিল। সেই ছুটি পরে বাড়ানো হয় ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
করোনাভাইরাসের কারণে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের মধ্যে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে টিভিতে ক্লাস সম্প্রচার করা হচ্ছে। আর উচ্চ মাধ্যমিক এবং উচ্চ শিক্ষাস্তরে অনলাইনে ক্লাস পরিচালনা করছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো।
অন্যদিকে, একই বছরের ২৬ মার্চ থেকে ৩০ মে পর্যন্ত ৬৬ দিনের সাধারণ ছুটি শেষে ৩১ মে সীমিত পরিসরে অফিস ও ১ জুন থেকে গণপরিবহন খুলে দেওয়া হয়। চলমান করোনা পরিস্থিতি অবনতি না হলে চলতি মাসের মাঝামাঝি দেশের সব স্কুল-কলেজ খুলে দেয়া হবে বলে গত ২৭ জানুয়ারি জানিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
আর ৩০ জানুয়ারি উচ্চ মাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা আশা করছি হয়তো আগামী মার্চ-এপ্রিল...মাসটা আমরা দেখবো, কারণ আমাদের দেশে মার্চ মাসেই ব্যাপকহারে করোনাভাইরাস শুরু হয়েছিল। এই ফেব্রুয়ারি মাস নজরে রাখব। যদি ফেব্রুয়ারিতে ভালো থাকে পরবর্তীতে সীমিত আকারে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার চিন্তা ভাবনা আছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এজন্য দরকার সবাইকে স্বাস্থ্য সুরক্ষা মেনে চলা ও করোনাভাইরাস মোকাবেলায় যা যা ব্যবস্থা আছে তা গ্রহণ করা। আর ভ্যাকসিন তো সবাই পেয়ে যাবেন।’
এর আগে ২২ জানুয়ারি করোনা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে গাডলাইন প্রকাশ করে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর। এ গাইডলাইন অনুসরণ করে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে। এরপর ২৮ জানুয়ারি সে প্রস্তুতি মনিটরিং বা পর্যবেক্ষণ করার নির্দেশনা দেয়া হয় মাঠ পর্যায়ের শিক্ষা কর্মকর্তাদের।
এআই/এসএ/