ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১

উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি ডিএনসিসির নতুন ১৮ ওয়ার্ডে (ভিডিও)

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:৫৬ এএম, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১ বুধবার

ঢাকা উত্তর সিটিতে ২০১৬ সালে নতুন ১৮টি ওয়ার্ড যোগ হলেও উন্নয়নের কোনো ছোঁয়াই লাগেনি। সবগুলো ওয়ার্ডেই ভাঙা-চোরা রাস্তাঘাট, বেহাল ড্রেনেজ সিস্টেম। কাউন্সিলররা বলছেন বাজেট থাকলেও বরাদ্দ নেই, তাই উন্নয়ন কাজ শুরু করা যায়নি। তবে উত্তর সিটির প্রধান নির্বাহী জানান, মহাপরিকল্পনা অনুযায়ী চলতি বছরই নতুন ওয়ার্ডগুলোতে উন্নয়ন কাজ শুরু হবে। 

৮টি ইউনিয়নকে ভেঙে ১৮টি ওয়ার্ডে ভাগ করে উত্তর সিটিতে যুক্ত করা হয় ২০১৬ সালে। নতুন ওয়ার্ডগুলোর আয়তন ১১৩ দশমিক ৫৯ বর্গকিলোমিটার। চার বছর পেরোলোও এই ওয়ার্ডগুলো উন্নয়নবঞ্চিত।

কাউলা, আশকোনা ও গাওয়াইর নিয়ে ৪৯ নম্বর ওয়ার্ডের রাস্তার চিত্র এটি। নর্দমা মনে হলেও এটি মুলত একটি সড়ক। এ সড়কের মত অন্য সড়কগুলোতে পানি না জমলেও এবড়ো-থেবড়ো সড়কে ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন। মাঝে মাঝেই ঘটছে দুর্ঘটনা।

স্থানীয়রা জানান, বিগত পাঁচবছর ধরে এই অবস্থায় আছে। মেম্বার বা কমিশনার যিনিই হন রাস্তা কেউ করে না।

দায়িত্ব নিয়ে এলাকার অবকাঠামোগত কোন উন্নয়ন করতে পারেননি এলাকার কাউন্সিলররা। অকপটে স্বীকার করলেন এলাকার উন্নয়নে কোনো বাজেট পাননি।

ডিএনসিসির ৪৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোঃ আনিছুর রহমান নাঈম বলেন, আসলে কোন কিছুই নেই আমার ওয়ার্ডে। তবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ হলো ড্রেনেজ সিস্টেম। বর্ষা আসতেছে, এই শীতের মৌসুমেই আমার এলাকায় পানি। কিন্তু সেই ৪ হাজার ২৫ কোটি টাকার বাস্তবায়ন কার্যক্রম যারা করবে তাদের আরও বেশি উদ্যোগী হওয়া দরকার।

সিটি করপোরেশন বলছে নতুন ১৮টি ওয়ার্ড নিয়ে মহাপরিকল্পনা আছে। এবছরই শুরু হবে উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ। 

ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা বলেন, ১৮টি ওয়ার্ডকে আমরা সত্যিকার অর্থেই মেইন স্টিমিংয়ের সাথে সংযুক্ত করে উন্নয়ন করতে চাই। এই কাজটি গুরুত্বপূর্ণ বিধায় এখানে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে কাজটি বাস্তবায়ন হবে।

অপরিকল্পিতভাবে গড়ে ওঠা ইউনিয়নগুলোকে পরিকল্পিতভাবে গড়ে তোলা সময়সাপেক্ষ। তবে মহাপরিকল্পনার আওতায় সড়কের আয়তন নির্ধারণ, বিদ্যুৎ ও পানির সংযোগ, পয়ঃনিষ্কাশন, ড্রেনেজ ব্যবস্থাসহ বিভিন্ন বিষয়ে কাজ শুরু হলে এলাকার বাসিন্দারা সুফল পাবে বলে জানান উত্তর সিটির প্রধান নির্বাহী।
ভিডিও :

এএইচ/এসএ/