ঢাকা, শনিবার   ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪,   আশ্বিন ১৩ ১৪৩১

ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’র আঘাতে অনেকেই নি:স্ব

প্রকাশিত : ১১:৩৯ এএম, ১ জুন ২০১৭ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০১:৫৮ পিএম, ১ জুন ২০১৭ বৃহস্পতিবার

ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’র আঘাতে ব উপকুলীয় অঞ্চলে বহু বাড়িঘর বিধ্বস্ত হওয়ায় অনেকেই এখন নিস্ব। দিন কাটাচ্ছেন খোলা আকাশের নিচে। কক্সবাজারের বিভিন্ন এলাকায় এখনো ত্রাণ না পৌছার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে জেলা প্রশাসন বলছে, ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত রয়েছে। রাঙামাটিতে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় তালিকা তৈরী করা হচ্ছে। লক্ষ্মীপুরে ডুবে গেছে ফসলি জমি আর ভেসে গেছে ঘেরের মাছ।
ঘূর্ণিঝড়ে কক্সবাজারের অধিকাংশ এলাকার ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত ও বিপুল পরিমাণ গাছপালা ভেঙ্গে পড়েছে। বিশেষ করে কক্সবাজার শহরের উপকুলীয় এলাকা চরপাড়া, বন্দরপাড়া ও ফদনার ডেইল এলাকায় অধিকাংশ বাড়িঘর তছনছ হয়ে গেছে। এসব এলাকার মানুষ এখন দিন পার করছে খোলা আকাশের নিচে।
দুর্গত এলাকায় এখনো কোন ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছেনি বলে জানিয়েছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসন জানায়, ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে জেলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৫২হাজার ৫৩৯ পরিবার। এরমধ্যে বিপুল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১৭ হাজার ২৩টি পরিবার, আংশিক ক্ষতি হয়েছে ৩৫ হাজার ৫১৬টি পরিবারের। গাছের নিচে চাপা পড়ে ৪জন নিহত ও আহত হয়েছে ৬০জন। এছাড়া মহেশখালীতে ১৪৮১ একর, টেকনাফে ১৩৮২ একর, উখিয়ায় ৪০২ একর ও রামু উপজেলায় প্রায় ৩০ একর জমির ফসলের ক্ষতি হয়েছে।
জেলা প্রশাসক জানান, গত দুইদিনে ৮টি উপজেলায় ১১৯টন খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
রাঙামাটিতে বৈদ্যুতিক লাইন সংস্কার ও রাস্তার উপর ভেঙ্গে পড়া গাছপালা সরিয়ে নেয়ার কাজ শুরু হয়েছে। এদিকে বসতঘরসহ ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রাণ সহায়তার লক্ষে জেলা প্রশাসনের পক্ষে তালিকা করা হচ্ছে।
এরিমধ্যে গাছ চাপা পড়ে নিহত ২ জনের পরিবারকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২০হাজার টাকা করে সহায়তা দিয়েছে।
লক্ষ্মীপুরে ঝড়ের প্রভাবে প্রবল বৃষ্টিতে ডুবে গেছে রামগতি ও কমলনগরের তোরাবগঞ্জ ও মজুচৌধুরী হাট এলাকার কয়েক শতাধিক একর জমির ফসল। সর্বোস্ব হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে কৃষক ও মৎসজীবীরা। এসব ক্ষতিপুরণে সরকারের সহযোগিতার পাশাপাশি সরকারী ঋণ সহায়তা চায় তারা।