মোদির বাংলাদেশ সফরে যেসব ইস্যু থাকবে (ভিডিও)
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১১:৪১ এএম, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১ বৃহস্পতিবার
মুজিববর্ষ, স্বাধীনতার সূবর্ণ জয়ন্তী এবং বাংলাদেশ-ভারত সর্ম্পকের ৫০ বছর- এমন প্রেক্ষাপটে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে অতিথি হয়ে আসছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এমন আয়োজনেও থাকবে কূটনৈতিক উদ্যোগ, থাকবে অমীমাংসিত নানা ইস্যু নিয়ে আলোচনা। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নরেদ্র মোদির এই সফরে প্রাধান্য পাবে পানি ব্যবস্থাপনা, উন্নয়ন অংশীদারিত্ব, বাণিজ্য ও রোহিঙ্গা ইস্যু। সফল আলোচনাও আশা করছেন বিশ্লেষকরা।
বর্ষায় বন্যার দূর্ভোগ, শুকনো মৌসুমে খরা। এটা প্রতিবছরের তিস্তা পাড়ের চিত্র।
নরেন্দ্র মোদির আসন্ন সফরে তিস্তাসহ অভিন্ন নদী এবং আঞ্চলিক পানি ব্যবস্থা নিয়ে সফল আলোচনা হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। সফরের পর পর পশ্চিমবঙ্গ বিধান সভার নির্বাচন, তাই রাজ্য সরকারের আপত্তিও তেমন উচ্চকন্ঠে হবে না। তাই এ বিষয়ে সমঝোতা সম্ভব বলে মনে করছেন এই আন্তর্জাতিক সম্পর্কের অধ্যাপক।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, সেই নির্বাচনের আগে কি বিজেপি, কি তৃণমূল কংগ্রেস এই ব্যাপারে তারা সময় দিবে বলে আমার মনে হয় না। সেই অর্থে মার্চ মাসে তিস্তার ব্যাপারে কোন সমাধান হবে বলে মনে হচ্ছে না।
ঢাকা-দিল্লি সম্পর্কের অন্যতম নিয়ামক বাণিজ্য। বাণিজ্য ঘাটতির ভারসাম্য রক্ষায় শুল্ক ও অশুল্ক বাঁধার অপসারণ চায় ঢাকা।
অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, পেনডেমিক তো আরও খারাপ অবস্থায় নিয়ে গেছে। ভারতের ওই ধরনের অর্থনৈতিক অবস্থা এখন নেই যে বড় ধরনের রিল্যাক্স করতে পারবে সে।
বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান উন্নয়ন অংশীদার ভারত। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফরের ইতিবাচক প্রভাব পড়বে এই ইস্যুতে। লাইন অব ক্রেডিটের টাকা দ্রুত ছাড়করণ, অবকাঠামো উন্নয়ন এবং ব্যবসায়িক বিনিয়োগের সম্ভাবনা দেখছেন বিশ্লেষকরা।
ঢাবির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের এই অধ্যাপক আরও বলেন, বরং তারা হয়তো বাংলাদেশ থেকে আরও সাহায্য চাইবে। বাংলাদেশকে বলবে যে তারা কিভাবে বিনিয়োগ করতে পারে এবং এখানে তাদের বড় আকারে সফট লোন দেয়ার ব্যাপারটা হয়তো থাকতে পারে।
নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফরে গুরুত্ব পাবে আঞ্চলিক রাজনীতি, আলোচনা হতে পারে সীমান্ত হত্যা, এনআরসি ও রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে। তবে তালিকার শীর্ষে থাকবে রোহিঙ্গা ইস্যু। নেপিদোয় ক্ষমতার পালাবদলের কারণে ভারতের অবস্থান বাংলাদেশের পক্ষে আসবে এমন আশাও বিরাজ করছে বিশ্লেষকদের মধ্যে।
ড. ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, যদি বড় আকারে কিছু হয়ে থাকে সেটা রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়েই হওয়ার একটা সম্ভাবনা আছে। বহুদিন ধরেই বলে আসছিল তারা, অং সান সুচির কারণে বড় ধরনের প্রেসার মিয়ানমার সরকারের উপর দিবে না। এখন যেহেতু সামরিক বাহিনী পুরোপুরি ক্ষমতা দখল করে ফেলেছে, এখন তো সেই কারণটা থাকলো না। নরেন্দ্র মোদি এমন কিছু বলবেন যেটা পরিবর্তনের ইঙ্গিত হবে। বিপক্ষে ভোট দেন না কিন্তু তারা বিরত থাকেন। আমরা আশা করবো যে ওই বিরত ভারত আর থাকবে না, তারা একেবারেই রোহিঙ্গাদের পক্ষে ভোট দিবে।
কোভিড-১৯ নিয়ন্ত্রণ বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কে নতুন মাত্রা দিয়েছে। নরেন্দ্র মোদির এই সফর দুই দেশের সম্পর্ককে উচ্চতর পর্যায়ে নিয়ে যাবে।
ভিডিও :
এএইচ/এসএ/